Home বিনোদন ‘এই প্রাণীহত্যার দায় আপনারও’, আতশবাজি প্রসঙ্গে জয়ার বার্তা

‘এই প্রাণীহত্যার দায় আপনারও’, আতশবাজি প্রসঙ্গে জয়ার বার্তা

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>বিনোদন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ&comma; বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ধরনের কাজকে &OpenCurlyQuote;শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ও বলছে মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে এখনও সচেতন নয় দেশের মানুষ। কাজেই এ নিয়ে সরকার থেকে শুরু করে বহু সামাজিক কিংবা প্রাণী কল্যাণ সংগঠনগুলো সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে।<&sol;p>&NewLine;<p>দেশের শোবিজ তারকারাও যে যার মতো করে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিনেত্রী জয়া আহসানও দিলেন সেই বার্তা। এ বছর বাজি-পটকা না ফুটিয়ে থার্টি ফার্স্ট উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।<&sol;p>&NewLine;<p>সোমবার &lpar;৩০ ডিসেম্বর&rpar; সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্ট লেখেন জয়া।<&sol;p>&NewLine;<p>সেখানে উঠে আসে- নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে প্রাণিহত্যার দিকটি। সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে এই হত্যার দায় নিজেদের বলেও সতর্ক করেন অভিনেত্রী। জয়া লেখেন&comma; &OpenCurlyQuote;মানুষদের মতো পাখিদের কোনো ক্যালেন্ডার নেই। তারা থার্টি ফার্স্ট চেনে না।<&sol;p>&NewLine;<p>অন্য আর দশটা সন্ধ্যার মতোই তারা ফিরে যায় যে যার নীড়ে&comma; রাতে ঘুমিয়ে পরদিন সকালে উঠে আবার কিচিরমিচির করবে বলে। কিন্তু সেই রাতে কী যেন হয় মানুষের। তারা ঘুমায় না। তীব্র হট্টোগোল শুরু হয়&comma; যেন যুদ্ধ&excl; বিকট শব্দে পাখিদের ঘুম ভেঙে যায়। তারা দেখে আকাশে শত শত ফানুস উড়ছে।<br &sol;>&NewLine;হঠাৎ একটা ফানুস এসে পুড়িয়ে দেয় গাছে থাকা সমস্ত পাখির ঘর। কেউ কেউ পুড়ে মরে&comma; কেউবা আতঙ্কিত হয়ে আকাশে উড়াল দেয়। কিন্তু আকাশটাই তো নিরাপদ না।’<&sol;p>&NewLine;<p>জয়া লেখেন&comma; &OpenCurlyQuote;কোনো কোনো পাখি মারা পড়ে তীব্র শব্দে&comma; আবার কারও গায়ে লাগে আতশবাজি। এরপরও যেসব ভাগ্যবান পাখি তখনও বেঁচে থাকে&comma; তাদের কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে বিল্ডিংয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে প্রাণ হারায়। জানি এই শহরে প্রচুর মানুষও মারা যায়&comma; কারও কারও কাছে পাখির মৃত্যু আদিখ্যেতা মনে হয়। কিন্তু মানুষের মৃত্যু দেখার জন্য তো সংস্থা আছে&comma; সংখ্যা হিসাব করার প্রতিষ্ঠান আছে। আছে আহত মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার হাসপাতাল। কিন্তু পাখিদের এসব কিছুই নেই। তাই পাখিরা মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেট হয় না&comma; জানা যায় না মৃত্যুর কারণ। এমনকি মৃত পাখিদের সংখ্যাটাও জানি না আমরা কেউ। ফলে এই শহরের মতোই পাষণ্ড নাগরিকেরা ভাবে&comma; পাখির মৃত্যু&quest; ও আর এমন কী&excl; কিন্তু মানুষ কেন ভাবে না যে প্রতিটি প্রাণের গুরুত্ব সমান&excl;’<&sol;p>&NewLine;<p>দুই বছর আগে আতশবাজির শব্দে শিশু উমায়েরের মৃত্যুর প্রসঙ্গও তোলেন জয়া। লেখেন&comma; &OpenCurlyQuote;শুধু পাখির কথা কেন&comma; এই শহরের কুকুর-বিড়াল-মুরগি-কীটপতঙ্গসহ সবাই-ই অস্থির হয়ে যায় নগরবাসীর আতশবাজি আর ফানুস উৎসবে। এমনকি ডিমের ভেতর বাচ্চা পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। আর মানুষ&quest; তারা তো মানুষের কথাও ভাবে না। ২০২২-এর জানুয়ারির à§§ তারিখ যখন নগরবাসী সারারাত আতশবাজি উৎসব করে ঘুমাচ্ছে তখন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছিল ৪ মাস বয়সী উমায়ের। একসময় সে পরাজিত হয় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ছোট্ট উমায়েরের এই মৃত্যুর দায় কেন এই নগরবাসী নেবে না&quest; আপনারা যারা আতশবাজি ফুটিয়েছিলেন তারা কেউ কি এই দায় থেকে মুক্ত&quest;’<&sol;p>&NewLine;<p>ফেসবুক পোস্টে জয়া আরও লেখেন&comma; &OpenCurlyQuote;এ বছরও হয়ত আপনারা আতশবাজি আর ফানুসের ঝলকানিতে নতুন বছরকে বরণ করে নেবেন। উৎসবের নামে এই তাণ্ডবলীলা চালানোর সময় কি এই অসহায় কুকুর-বিড়াল-পাখিসহ অসহায় প্রাণীদের করুণ মুখগুলো আপনাদের মনে পড়বে&quest; আপনাদের কি মনে পড়বে শিশু উমায়েরের নিষ্পাপ মুখটির কথা&quest; যদি এদের কারও কথা আপনার মনে না পড়ে&comma; অথবা মনে পড়ার পরও যদি আতশবাজি আর ফানুসের তাণ্ডব চালিয়ে যান&comma; তাহলে জেনে রাখুন&comma; এই প্রাণীহত্যার দায় আপনারও।’<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version