কানাডায় বেড়েছে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> সম্প্রতি কানাডার কুইবেকে বাংলাদেশিদের আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যে হারে আবেদন বাড়ছে তাতে এ বছর কানাডার মোট আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ২২ হাজারের বেশি হতে পারে&comma; যা গত বছরের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। কানাডীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>এসব আশ্রয়প্রার্থীদেরই একজন মারজানা জান্নাত রাহী। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাবা-মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে মন্ট্রিলে এসেছিলেন। এখন তিনি নিরাপত্তার জন্য দেশটিতে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু কিছু রাজনীতিবিদ বা দুর্বৃত্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আমার বাবাকে আক্রমণ করে। এছাড়া তারা আমাদের ওপরও আক্রমণ করেছে।’<&sol;p>&NewLine;<p>ইমিগ্রেশন&comma; রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডার &lpar;আইআরসিসি&rpar; তথ্য অনুসারে&comma; জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ২ হাজার ৮৬৫ জন বাঙালি শুধু কুইবেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২০৯ এর কম। বর্তমান হারে আবেদন পড়তে থাকলে বছরের শেষ নাগাদ প্রদেশটিতে আশ্রয়প্রার্থী পাঁচ হাজারের বেশি হতে পারে।<&sol;p>&NewLine;<p>আইআরসিসির তথ্যমতে&comma; এ বছর কানাডার মোট আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ২২ হাজারের বেশি হতে পারে&comma; যা গত বছরের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।<&sol;p>&NewLine;<p>বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন মন্ট্রিলে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক আবিদ বাহার। তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তার দৃষ্টিতে&comma; বাংলাদেশিদের দেশত্যাগ তার কাছে বিস্ময়কর কিছু নয়। তিনি বলেন&comma; কারণ নিপীড়ন আরও বেশি হচ্ছে। তাই তারা দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>গ্লোবাল নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়&comma; গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই সময়ে ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী মারাত্মক দমন-পীড়ন চালিয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। মন্ট্রিলে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা কয়েক দিন ধরে প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।<&sol;p>&NewLine;<p>সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখা নিয়ে এই আন্দোলনের সূত্রপাত ও পরবর্তীতে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। এরপর থেকে সেই নীতি বাতিল করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।<&sol;p>&NewLine;<p>মন্ট্রিলের মারিয়ানোপোলিস কলেজের ইতিহাস এবং দক্ষিণ এশীয় গবেষণার অধ্যাপক ডলোরেস চিউ বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তার মতো বিশেষজ্ঞদের মতে&comma; &OpenCurlyQuote;বাংলাদেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জটিল হয়ে উঠছে।’<&sol;p>&NewLine;<p>অধ্যাপক ডলোরেস চিউ বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;বাংলাদেশের একটি বৃহৎ জনসংখ্যা বেকার বা কর্মহীন। তাদের অধিকাংশই তরুণ। পেটের দায়ে পড়েই তারা রাজপথে নেমেছে।’<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি উল্লেখ করেছেন&comma; &OpenCurlyQuote;দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ভালো করলেও কোভিড-১৯-এর পরে পোশাকশিল্পে ধস নামা শুরু হয়। এরপর থেকেই সবকিছু আরও খারাপের দিকে মোড় নেয়। এরপরে ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জ্বালানির দামও বেড়েছে।’<&sol;p>&NewLine;<p>চিউয়ের মতে&comma; বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাও রয়েছে। তিনি বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;মানুষ সরকারব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়েছে। কারণ তারা মনে করে&comma; গণতান্ত্রিক কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে না।’<&sol;p>&NewLine;<p>সর্বোপরি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে সামনের দিনগুলোতে কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন মন্ট্রিলে বসবাসরত বা বাংলাদেশিরা।<&sol;p>&NewLine;<p>&nbsp&semi;<&sol;p>&NewLine;