অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় ২০২০ সালে মোট গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ কম হয়েছে ৬৬ মেগাটন। শতকরা হিসাবে এটি আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৯% কম। করোনা মহামারির কারণে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে জমা দেয়া কানাডার ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে পরিবেশ মন্ত্রী স্টিভেন গিলবল্ট বলেন, মহামারির বছর ২০২০ সালে দেশে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ কমেছে ৬৬ মেগাটন। এটি রাস্তা থেকে ২০ মিলিয়ন যানবাহন তুলে নেয়ার সমতুল্য। মহামারির কারণে লোকজন গৃহবন্দি থাকায় এবং যান চলাচল সীমিত থাকায় প্রায় ২৭ মেগাটন কম গ্যাস নির্গমন হয়েছে।
গিলবল্ট বলেন, এটি প্রথম প্রতিবেদন যা কানাডার পরিবেশের উপর মহামারির ইতিবাচক প্রভাবকে তুলে ধরেছে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ সম্পর্কিত কানাডার জাতীয় ইনভেন্টরি রিপোর্টেও ‘প্রগতির প্রকৃত লক্ষণ’ ছিল। তাই আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে সামগ্রিক নির্গমনের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। কেননা কানাডার অর্থনীতি আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এবং রাস্তায় যান চলাচল আবার শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে কানাডার লিবারেল সরকার জলববায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইকে বেশ অগ্রাধিকার দিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার গ্রিনহাউস নির্গমণ ২০০৫ সালের তুলনায় ৪০%-৫০% কমাতে চাইছে। এই লক্ষ্যে প্রধানত বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে জোড় দিচ্ছে সরকার।
জলবায়ু বিষয়ক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক ক্লিন এনার্জি কানাডা, নির্গমন হ্রাসের খবরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে এই সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে হবে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী মেরান স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফেডারেল সরকারের ‘নির্গমণ হ্রাস’ পরিকল্পনার দ্রæত বাস্তবায়ন করা। এই লক্ষ্য অর্জনে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাড়ানো ছাড়াও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বন্ধ করতে হবে।
প্রতি বছর মধ্য এপ্রিলে কানাডা জাতিসংঘে জলবায়ু বিষয়ক এই প্রতিবেদন জমা দিয়ে থাকে। এবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী যানবাহন খাতে নির্গমণ কমেছে ২৭ মেগাটন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে কমেছে ৭.৪ মেগাটন (১১%)। সূত্রম : রেডিও কানাডা