Home জাতীয় দেশের রেল যোগাযোগ হবে বিশ্বমানের: রেলমন্ত্রী

দেশের রেল যোগাযোগ হবে বিশ্বমানের: রেলমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলওয়ে লিংক প্রকল্প কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়া রেল সেকশনের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেন।

মন্ত্রী বলেন, ভারতের অর্থায়নে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ হচ্ছে। এটার জন্য বাংলাদেশের কোনো টাকা লাগছে না। এর সঙ্গে স্টেশন ভবন এবং কাস্টমস ভবনসহ অন্যান্য যেসব স্থাপনা প্রয়োজন সেসব স্থাপনা করছে। আগামী মার্চের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলেই ২০২২ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে ট্রেন চলবে। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনটি আমাদের অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রেললাইনটি নির্মিত হলে ব্যবসা বাণিজ্যসহ দেশি-বিদেশি অধিকসংখ্যক পর্যটক দুই দেশে যাতায়াত করবেন। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলপথে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোসহ রেলপথের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ২০১১ সালে আলাদা রেল মন্ত্রণালয় গঠন করার পর রেলকে সুশৃঙ্খল অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তাছাড়া রেলওয়ের বেদখল হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে শক্ত হাতে নেমেছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন- রেলের সব রুট মিটারগেজের পরিবর্তে ব্রডগেজে রূপান্তর করার। এ কারণে লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে লাকসাম পর্যন্ত রেললাইন ডুয়েলগেজে রূপান্তর করতে হবে। আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেললাইনেও ডুয়েলগেজে রূপান্তর করতে হবে। এসব কাজ যদি সম্পন্ন হয় তাহলে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ ট্রেন আমরা চালাতে পারব।

এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন, ফেনী, লাকসাম ও কুমিল্লাসহ চট্টগ্রামের দোহাজারী, চকরিয়া ও কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন।

উল্লেখ্য, ২৪০ কোটি ৯০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০১ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলওয়ে লিংক (বাংলাদেশ অংশ)। সম্পূর্ণ ভারত সরকারের অনুদানের টাকায় প্রকল্পের কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের সাড়ে ছয় কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। বাকি চার কিলোমিটার পড়েছে ভারতে।

চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষা মৌসুম ও করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেজন্য প্রথম দফায় চলতি বছরের ১৩ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও কাজের অগ্রগতি বিবেচনায় দ্বিতীয় দফায় আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

Exit mobile version