নেচে গেয়ে শতবর্ষী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বিয়ে

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> &OpenCurlyQuote;যদিদং হৃদয়ং মম-তদিদং হৃদয়ং তব’- বিবাহবাসরে সনাতনী এ বেদমন্ত্র দিয়ে বরাবরই হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা বিয়ে সম্পন্ন করেন। তবে এবার এই বেদমন্ত্র পড়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন শতবর্ষী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।<&sol;p>&NewLine;<p>বরের বয়স শতবর্ষ ও কনের বয়স শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই। এরপরও বিয়ের আয়োজনে ছিল না কোনো কমতি। বিবাহবাসরে ব্রাহ্মণ দিয়ে বিয়ে শুধুমাত্র সনাতনী এ বেদমন্ত্র দিয়েই নয়&comma; নাচ-গান&comma; বাদ্য-বাজনা আর সনাতন রীতিতে ধুমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে এই বিয়ে। বিয়ের নিমন্ত্রণ কার্ড থেকে শুরু করে সহস্রাধিক মানুষের তিন দিন ধরে ভোজনের আয়োজন ছিল।<&sol;p>&NewLine;<p>দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম দক্ষিণ মেড়াগাঁওয়ে রোববার রাতে ধুমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে ব্যতিক্রমী এ বিয়ে।<&sol;p>&NewLine;<p>বর দক্ষিণ মেড়াগাঁও গ্রামের স্বর্গীয় ভেলগু দেবশর্মার পুত্র বৈদ্যনাথ দেবশর্মা। আর কনে তারই ৯০ বছর আগে বিয়ে করা স্ত্রী পঞ্চবালা দেবশর্মা।<&sol;p>&NewLine;<p>বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রে তিনি উল্লেখ করেন &OpenCurlyQuote;পরম করুনাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমার বয়স ১০৭ বছর। আমার স্ত্রী শ্রীমতি পঞ্চবালার সহিত প্রায় ৯০ বছর পূর্বে বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। আমাদের বিবাহের পঞ্চম পীড়ি &lpar;পাঁচ প্রজন্ম&rpar; উত্তীর্ণ হওয়ায় ৮ ফাল্গুন রোজ রোববার এক সনাতনী বেদমন্ত্র উচ্চারণে &OpenCurlyQuote;যদিদং হৃদয়ং মম-তদিদং হৃদয়ং তব’ পুনঃবিবাহ মিলনের অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হইবে। উক্ত পুনঃবিবাহ মিলন ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে আমার নিজ বাসভবনে উপস্থিত থাকার বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। পত্র দ্বারা নিমন্ত্রণ করিলাম। ত্রুটি মার্জনীয়।’<&sol;p>&NewLine;<p>নিমন্ত্রণপত্রে বিয়ের লগ্ন-তিথি&comma; বৌভাতসহ সব অনুষ্ঠানের সময়সূচি উল্লেখ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান&comma; পাঁচ শতাধিক কার্ড ছাপিয়ে বিয়ের নিমন্ত্রণ দেয়া হয় আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে।<&sol;p>&NewLine;<p>দক্ষিণ মেড়াগাঁওয়ে প্রায় মাসখানেক ধরেই আয়োজন চলে শতবর্ষী এই বর-কনের বিয়ের। এ আয়োজনের পর রোববার রাত ৮টায় বর আসেন গাড়িতে চড়ে। যথারীতি পূজাপার্বণের মাধ্যমে বরকে বরণ করে নিয়ে বসানো হয় বিবাহবাসরে এবং সাজিয়ে-গুছিয়ে তার পাশেই বসানো হয় কনেকে। এরপর ব্রাহ্মণ নিয়ে উচ্চারণ করা হয় সনাতনী বেদমন্ত্র। এভাবেই সনাতনী রীতিতে মালাবদলসহ সবরকম আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ে।<&sol;p>&NewLine;<p>ধর্মীয় রীতির পাশাপাশি ধুমধামের কোনো কমতি ছিল না বিয়েতে। ছিল বাদ্য-বাজনা&comma; নাচগান&comma; প্রীতিভোজ। বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন পাড়া-প্রতিবেশী&comma; আত্মীয়স্বজন&comma; জনপ্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক মানুষ।<&sol;p>&NewLine;<p>বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া বৈদ্যনাথ তার বিয়ের কার্ডে বয়স ১০৭ উল্লেখ করলেও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বর্তমানে তার বয়স ৯২ বছর। এ বিষয়ে তিনি বলেন&comma; জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স ভুল আছে। তার পিতা স্বর্গীয় ভেলগু দেবশর্মার হাতে লিখে যাওয়া জন্মতারিখ অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ১০৭ বছর।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি বলেন&comma; বিয়ের পঞ্চম পাঁচ প্রজন্ম পার হয়েছে। এজন্যই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আবার এ বিয়ে। বংশধরদের মঙ্গলের জন্যই এ বিয়ের আয়োজন বলে জানান তিনি।<&sol;p>&NewLine;<p>বিয়ের পিঁড়িতে বসে বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া কনে পঞ্চবালা দেবশর্মা জানালেন&comma; ছোটবেলা বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় বিয়ে কি- তা তিনি বোঝেননি। কিন্তু এবার এ বিয়েতে বেশ আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। আমাদের বংশধররাও যাতে আমাদের মতো দীর্ঘজীবী হয়-এজন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি।<&sol;p>&NewLine;<p>রোববার রাতে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বেদমন্ত্র দিয়ে বিয়ে পড়িয়েছেন ব্রাহ্মণ মহাদেব ভট্টাচার্য। তিনি জানান&comma; এর আগে এমন বিয়ে তিনি কখনই দেননি এবং দেখেননি। এ রকম বিয়েতে পুরোহিতের কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন তিনি।<&sol;p>&NewLine;<p>অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার বিভূতিভূষণ সরকার। তিনিও জানান&comma; এর আগে তার এলাকায় এ রকম বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। হয়তো বাংলাদেশে এ বয়সের মানুষের বিয়ের অনুষ্ঠান এটিই প্রথম।<&sol;p>&NewLine;<p>বৈদ্যনাথ দেবশর্মার একমাত্র মেয়ে বৃদ্ধা ঝিনকো বালা দেবশর্মা জানান&comma; তার পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান তিনি। তারই নাতি-নাতনি আবার তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিসহ মোট ৪টি প্রজন্ম পার করছেন। আর তার বাবা-মা পার করছেন পাঁচটি প্রজন্ম। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ভবিষ্যৎ বংশধরদের কল্যাণেই এ বিয়ের আয়োজন করেছেন তারা। আর এ বিয়ের আয়োজন করতে পেরে পরিবারের সদস্যরা সবাই খুশি ও আনন্দিত। তাই তারা বিয়ে অনুষ্ঠানের কোনো কমতি রাখেননি।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি আশা প্রকাশ করেন&comma; তার বংশধররাও যাতে বাবা-মায়ের মতো দীর্ঘজীবী হয়।<&sol;p>&NewLine;<p>পাড়া-প্রতিবেশী আর আত্মীয়স্বজনদের পাশাপাশি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্থানীয় ৮নং ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাবুল চন্দ্র সরকার জানান&comma; ধুমধামের সঙ্গে ব্যতিক্রমী এ বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এ রকম বিয়ে তারা কখনও দেখেননি। এমন বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুশি তারা।<&sol;p>&NewLine;