অনলাইন ডেস্ক : কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড লাব্রাডর (এনএল) প্রদেশের রাজধানী সেন্টজনের বিমান বন্দর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় সেখানে এক আবেগঘণ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস প্রকাশ করে। অনেকে দীর্ঘদিন পর স্বজনদের কাছে ফিরতে পেরে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন। করোনা মহামারির কারণে ওই বিমানবন্দরে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বিতর্কীত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল।
চলতি সপ্তাহে ওই নিষেধাজ্ঞা পত্যাহারের ফলে অন্য সবার মতোই ভীষণ খুশি হয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া যোদ্ধা শতবর্ষী রড ডিয়ন। তবে তার খুশির মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই
একটু বেশি। কেননা গত শুক্রবার ছিল তার শততম জন্মদিন। বিমানবন্দর চালু হওয়ায় সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা তার স্বজন ও বন্ধুরা এবারের জন্মদিনটি উদযাপনের জন্য সেন্ট জোনসে আসতে পেরেছেন। গতবার এই সুযোগ না থাকায় তাকে একাই জন্মদিন কাটাতে হয়েছিল। এবার তার জন্মদিনের আগেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সরকার। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই লোকজন তার জন্মদিনের পার্টিতে আসতে থাকে। ডিয়নের এক নাতি ডেভ ওয়ালশ বলেন, আমাদের পরিবারে খুব বড়সর একটি পুনর্মিলনী হতে যাচ্ছে। প্রায় দেড় বছর পর আমরা আবার একত্র হচ্ছি। এটি সত্যিই খুব আনন্দের ও মজার একটি অভিজ্ঞতা হবে। এদিকে কিছুদিনের মধ্যেই আরো ২ জন শতবর্ষী যোদ্ধার জন্মদিন পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়ালশ।
প্রসঙ্গত করোনা ভাইরাসের কারণে বিমানবন্দর বন্ধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় নোভা স্কশিয়ায় বসবাসরত কিম টেইলর নামে এক ব্যাক্তি তার মায়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগদিতে সেন্ট জোনসে আসতে পারেন নি। পরে তিনি ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন। পরবর্তীতে আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই থেকে বিতর্কীত ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এদিকে বিধি-নিষেধের ফলে এতদিন যারা সেন্ট জোনসে অবরুদ্ধ ছিলেন এখন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তারাও স্বজনদের কাছে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্র : দ্য স্টার