Home কানাডা খবর মহামারি পরবর্তী লংটার্ম হোম পরিচালনায় কানাডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের নীতিমালা

মহামারি পরবর্তী লংটার্ম হোম পরিচালনায় কানাডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের নীতিমালা

অনলাইন ডেস্ক : কানডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন সিএসএ দেশটিতে মহামারী পরবর্তী সময়ে লংটার্ম হোমগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে তার কিছু নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। করোনা মহামারীতে কানাডায় বিভিন্ন লংটার্ম হোমে ১৬ হাজারেরও বেশি বাসিন্দার মৃত্যুর পর এসব হোমের দুর্বলতা দূর করার জন্য ৩৩৮ দফা খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে প্রতিটি বাসিন্দার জন্য ব্যাক্তিগত বাথরুমের ব্যবস্থা রাখা, ডেডিকেটেড হ্যান্ড-হাইজিন সিঙ্কের সুবিধা এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেন কর্মী সঙ্কট না হয় সে জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারী শুরুর প্রথম কয়েক মাসে কানাডায় মৃত্যুর ৮০ ভাগেরও বেশি লংটার্ম হোম ও অবসর গৃহগুলোতে ঘটেছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এজিংসের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে কানাডায় বিভিন্ন লংটার্ম কেয়ার হোমে করোনায় ১৬ হাজারেরও বেশি বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এসব হোমে কর্মরত হাজার হাজার কর্মী ও সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ ডজনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। কানাডার লংটার্ম কেয়ার হোমগুলোতে সেবার মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসছিল। করোনায় এসব অভিযোগ আরো জোড়ালো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত সুপারিশমালা সম্পর্কে সিএসএ গ্রæপের কারিগরি উপ-কমিটির প্রধান এলেক্স মিহাইলিডিস বলেন, যে সব অভিযোগ এসেছে সেগুলো পর্যালোচনা করে আমরা খসড়া মানগুলো তৈরি করেছি। এতে হোমের বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য সদস্যদেরও কল্যাণ হবে।

সি এস এর খসড়া নীতিমালাগুলো গত বসন্তে ফেডারেল সরকারের কাছে পাঠানো মানগুলোর একটি বৃহত্তর প্যাকেজের অংশ। এর প্রথম অংশে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং পরবর্তী অংশে স্টাফদের নিরাপত্তার দিকে নজর দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নতুন নীতিমালাগুলো বাস্তবায়ন কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও এর সুফল হবে দীর্ঘমেয়াদী। অর্থের জন্য সমস্যা হবে না। জানিয়ে তিনি বলেন, গত নির্বাচনের আগে উদারপন্থীরা এই খাতে বাড়তি ৯ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে।

তবে নার্সিং হোম অব নোভাস্কশিয়া অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক মিশেল লোই বলেছেন, সরকারি অর্থের আশায় বসে থাকলে কাজ হবে না। আপনাকে অন্য উৎস থেকে অর্থ উপার্জনের পন্থা খুঁজতে হবে। অর্থ ছাড়া আপনি মানের উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন না। সূত্র : সিবিসি

Exit mobile version