Home আন্তর্জাতিক রাশিয়ার তেল কিনে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখছে ভারত’

রাশিয়ার তেল কিনে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখছে ভারত’

অনলাইন ডেস্ক : ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে পুরোমাত্রায় তেল ক্রয় শুরুর পর থেকে একদিকে যেমন দেশটির জনগণের জ্বালানি তেলের চাহিদা মিটছে, তেমনি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও এটি সহায়তা করছে বলে মনে করেন ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানিমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি।

বুধবার কানাডার সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেছেন হরদীপ। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে পুতিনের যুদ্ধমেশিনকে শক্তিশালী করছেন কি না— সাক্ষাৎকারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, “গত কয়েক বছরে বিভিন্ন বৈশ্বিক কারণে জ্বালানি নিরাপত্তার ব্যাপারটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আমরা এসব চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে অবগত এবং একই সঙ্গে আমাদের দেশের জনগণকে ন্যায্যমূল্যে জ্বালানি সরবরাহের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

“আর শুধু আমরাই তো নই, অন্যান্য অনেক দেশও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনে। আমরা সবাই যদি এখন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিই, তাহলে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১৩০ ডলারে ঠেকবে। সেক্ষেত্রে দেশে দেশে অস্থিরতা শুরু হবে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে। আমরা আমাদের মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তারা এটি অনুধাবন করতে পেরে বলেছে, ‘আপনারা রাশিয়ার তেল কিনুন, কিন্তু অবশ্যই যে মূল্য আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি সেই মূল্যে কিনতে হবে।’ ভারত এবং রাশিয়া উভয়ে এই শর্ত মেনেই তেল কেনা-বেচা করছে।”

“আমি মনে করি, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার মাধ্যমে ভারত একদিকে যেমন বিশ্ব অর্থনীতিকে সহযোগিতা করছে, তেমনি তেলের দামে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও ভূমিকা রাখছে”, সিএনবিসিকে বলেন হরদীপ সিং পুরী।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান শুরুর পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা। ফলে যুদ্ধের প্রথম মাসে বিশ্ববাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে জ্বালানি তেলের দাম।

এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত মূল্যে জ্বালানি তেল কেনা শুরু করে ভারত। সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, গত বছর ভারত তার মোট আমদানিকৃত তেলের ৩৮ শতাংশ কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে।

সূত্র : আরটি

Exit mobile version