অনলাইন ডেস্ক : কানাডার অন্টারিওতে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে গত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১ বছরে বিভিন্ন সহিংসতায় ৫৮ জন নারী ও শিশু হত্যার শিকার হয়েছেন। অন্টারিও অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারভাল অ্যান্ড ট্রনজিশন হাউসের (ওএআইটিএইচ) এক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এনুয়েল ফেমিসাইড লিস্ট শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে মহামারিকালে সহিংসতা বৃদ্ধির চিত্র এতে ফুটে উঠেছে। প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছে ইউনিভার্সিটি অব গুয়েফের একদল গবেষক।

প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহতদের বয়স ২ থেকে ৮৯ বছর। অন্টারিওর দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাবিনা-লেম্বটম এলাকায় রয়েছেন ৪ জন। ওই এলাকার ওমেন্স ইন্টারভ্যাল হোমের আবাসিক সেবা বিভাগের ব্যবস্থাপক রেনে বারনিয়ার বলেন, ভয়াবহ ঘটনাগুলো ঘটেছে একের পর এক। একটি ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যে আরেকটি, তারপর থেকে সপ্তাহের মধ্যে আরেকটি এবং কয়েকদিন পর আরেকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সত্যিই সমাজের জন্য দুশ্চিন্তার।

তিনি বলেন, এসব ঘটনা পুরো সমাজকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। বিশেষ করে পারিবারিক কলহের জেরে নারী ও শিশু হত্যার ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। আতঙ্কিত লোকজন ভাবছে- পরবর্তী ঘটনার শিকার কি আমি বা আমার কোনো আপনজন?

ওএআইটিএইচের প্রতিবেদনে নিহতদের তালিকায় রয়েছে ২ বছরের শিশু থেকে ৮৯ বছরের বৃদ্ধা। এছাড়া রয়েছে আদিবাসী ট্রন্স জেন্ডার ও টু-স্পিরিট গোত্রের মহিলা। পুরুষদের হাতে নিহত হওয়া এসব নারী ও শিশুর তালিকা করতে পত্রিকার প্রতিবেদনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তাও নিয়েছেন গবেষকেরা।

বারনিয়ার বলেন, করানা মহামারীর কারণে দীর্ঘ সময় ঘরে থাকা এবং বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার হতাশা থেকে অনেকে খুন-যখমের মতো সহিংসতায় জড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্টারিওতে গত বছরের তুলনায় এ ধরনের ঘটনা প্রায় ২ গুণ বেড়েছে। অন্টারিওর ইতিহাসে এই বছরটি নিশ্চিতভাবে একটি ‘বাজে’ বছর হিসেবে চিহ্নিহ্নত হয়ে থাকবে। সূত্র : সিবিসি