অনলাইন ডেস্ক : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই আমার জন্য দোয়া করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোন করে আমার খোঁজ নেয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে ফোন করেছিলেন। অনেকে আমার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছেন। তাদের কাছে আমি খুব কৃতজ্ঞ। দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের দোয়ায় আমি ভলো আছি।
আমারতো আবার কিডনি নষ্ট। এখন প্যারাসিটামল খাচ্ছি। গরম পানি খাচ্ছি। প্লাজমা থেরাপি নিয়েছি। এমনিতে ভালো আছি।

গতরাতে তিনি এসব কথা বলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি একটি কথা সবাইকে বলি, আমারতো ৭১ সালে মারা যাওয়ার কথা ছিল। কেউ কি বলেছিল আমি বেঁচে ফেরত আসবো! তবে কষ্টটা কোথায় জানেন? আমার কষ্টটা হলো এই সরকারকে বোঝাতে পারলাম না যে এই কিট যদি দ্রুত বাজারে আসতো তাহলে দেশবাসীর লাভ হতো। গত বছর দেশে যখন ডেঙ্গু হয়েছিল, সরকার এক দিনের মধ্যে ডেঙ্গু কিটের অনুমোদন দিয়েছিলেন। সাত দিনের মধ্যে এন্টিভাইরাসের অনুমোদন দিয়েছেন। আজকে অপর পক্ষে আমাদের নানা অযুহাতে বিলম্বিত করছেন। ডেঙ্গুর এন্টিভাইরাস যেটা ইনজেকশন।

আমাদেরটা এটা কোনো ইনজেকশন না। কোনো ওষুধ খেতে হবে না। কিছু করতে হবে না। বরং আপনার মুখের থুথু নিয়ে পরীক্ষা করে দেখবো। থুথু এবং রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করে দেখবো। আমাদের কিট ছিলো বলেই আমি অন্ততপক্ষে ১শ’টি লোকের কম ক্ষতি করেছি। ঈদের আগের দিন আমি যখন গণস্বাস্থ্যে যাই তখন একটু জ্বর জ্বর অনুভব করি। তখন আমার চিকিৎসকরা বলেন, ভাই আমরা আপনার থুথুটা পরীক্ষা করে দেখি। আপনার কেন জ্বর জ্বর লাগছে দেখি। এক ফোটা থুথু নিয়ে তারা পরীক্ষা করে আমাকে এক ঘণ্টার মধ্যে বাসায় ফোন করে বলেন, আপনি আলাদা থাকেন। আপনিতো করোনা পজিটিভ।

আজকে আমি যদি এখানে পরীক্ষা না করতাম তাহলে শতাধিক মানুষকে ইনফেকটেড (আক্রান্ত) করতাম। ঈদের দিন লোকজন আসতেন। ভাই-বোন সবাই আসতো। সবাইকে আমি আক্রান্ত করতাম। ওই কিটে পরীক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল পাওয়ার ফলে আমি এক’শ লোকের কম ক্ষতি করেছি। কিন্তু এই বিষয়টি আমি সরকারকে বোঝাতে পারলামনা। আমার দুর্ভাগ্য এটা।