দেবতোষী দত্ত

যা করি স্পর্শ হয়ে যায় ভস্ম,
মোর হয় না যে বোধগম্য এর কি আছে রহস্য!
তবুও আমার ব্যতীত সভ্যতার অগ্রণী হবে যে স্তব্ধ,
মোর নেই কোনো বিকট নতুবা মধুর শব্দ।
আমি আগুন চাইলেও অক্ষম সৃষ্টিতে,
সক্কলে চায় মোর পানে ভ্রু-কুঞ্চিত দৃষ্টিতে।
প্রবীন হতে নবীন কিংম্বা নবীন হতে নবীনতরের জন্ম দিতে না পারা আমি,
তবুও তো সৃষ্টি থামে না কভু সে যে অগ্রগামী।
পৃথিবী জন্মের কিছু পরে মোর জন্ম,
ধ্বংস করাই শুধু বল দেখি কেন মোর ধম্ম?
আমি আগুন সক্কলে তাই দেয় ফেলে রাখে যে সরিয়ে,
যার দরুণ মনে মোর আছে সহস্র বেদনা ছড়িয়ে।
সঙ্গীহীন-সাথীহীন জীবন দশা কাটে মোর,
মজেছি আমাতে রয়েছি অপেক্ষায় কেটে যায় দিবা-রাত্রি হয় যে নতুন ভোর।
মোর লেলিহান শিখা বৃদ্ধি পায় লকলকিয়ে,
চতুর্দিকে তখন সর্বস্ব যায় যে হারিয়ে।
আমি আগুন চাইলেও অক্ষম মায়ার বাঁধনে বাঁধতে,
আমি কাঁদলেও অদৃশ্য মোর অশ্রু ঝর্ণা, যা সক্কলে অক্ষম দেখতে।

কৃষ্ণনগর, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ