অনলাইন ডেস্ক : মুদ্রাস্ফীতি এবং পেট্রোলের উচ্চ দাম মোকাবেলায় আগেই আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টার প্রতি জোর দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার আমেরিকাবাসীকে সুখবর দিলেন প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে তিনি অন্যান্য দেশের সাথে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য পেট্রোলিয়াম ভান্ডার থেকে ৫ কোটি ব্যারেল তেল ছাড়বেন ।এর জেরে সে দেশে জ্বালানির দাম কমবে বলে মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি, এতে বিশ্ব জুড়ে জ্বালানির দামেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

প্রেসিডেন্ট বলেছেন , হোয়াইট হাউস তেল এবং পেট্রোল কোম্পানিগুলির সম্ভাব্য অবৈধ আচরণেরও তদন্ত করছে। কেন তারা গ্যাসের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে রাখছে সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। টুইটারে বাইডেন লিখেছেন, ‘আমেরিকান পরিবারদের জন্য তেল এবং গ্যাসের দাম কমাতে পদক্ষেপের কথা আজ ঘোষণা করছি।

আমেরিকাবাসীদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ থেকে ৫ কোটি ব্যারেল তেল ছাড়বে শক্তি মন্ত্রণালয়, যাতে তেল এবং গ্যাসের দাম কমানো যায়।’ গত সাত বছরের মধ্যে আমেরিকায় তেলের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ হয়েছে। আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সোমবার ১ গ্যালন তেলের দাম ৩.৪০৯ ডলার ছুঁয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের সাথে বাইডেনের প্রশাসন এই বছরের শুরুতে মুদ্রাস্ফীতির তীক্ষ্ণ প্রভাবকে ক্ষণস্থায়ী হিসাবে বর্ণনা করেছিল, তবে মূল্যবৃদ্ধির পতন অব্যাহত থাকায় সরকারের ওপর চাপ ক্রমেই বেড়েছে।

বাইডেনের সিদ্ধান্তে আমেরিকার সাধারণ মানুষেরা স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকানরা যে সমস্যার মধ্যে আছে তা স্বীকার করেছেন বাইডেন, তিনি বলেছেন যে সরবরাহ চেইনে লগজ্যাম দূর করতে মার্কিন বন্দরগুলির কাজে গতি বাড়াতে হবে এবং খুচরা বিক্রেতাদের সাথে সমন্বয় রেখে চলতে হবে যাতে স্টোর কখনো খালি না যায়। হোয়াইট হাউস চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং বৃটেনের সাথে সমন্বয় করে কৌশলগত মজুদ থেকে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল ছাড়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে কারণ ওপেক প্লাস গ্রুপের উত্পাদকরা বারবার তেলের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

বাইডেন সেই সংস্থাগুলিকেও লক্ষ্য করেছেন যেগুলি রেকর্ড মুনাফা করছে। “যদি পাইকারি এবং খুচরা গ্যাসের দামের মধ্যে ব্যবধান সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তবে আমেরিকানদের অনেকটা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে তেল এবং গ্যাস সংস্থাগুলির দ্বারা ভোক্তা-বিরোধী আচরণের প্রমাণ মিলেছে, তারা ইচ্ছে করে জ্বালানীর দামকে বাড়িয়ে রাখছে। ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে বাজারে সম্ভাব্য “অবৈধ আচরণ” সম্পর্কে আরও গভীরভাবে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস ।

সূত্র: রয়টার্স