অনলাইন ডেস্ক: এবার লাল পেঁয়াজ থেকে সালমোনেলা নামের ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। এই রোগের উপসর্গ ডায়রিয়া, জ্বর ও পেটব্যাথা।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩টি রাজ্যে ও কানাডায় পেঁয়াজসংশ্লিষ্ট এই প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর পর ক্যালিফোর্নিয়ার ওই উৎপাদক কোম্পানি ও বিভিন্ন মুদি দোকান বাজার থেকে ওই পেঁয়াজ তুলে নিয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) বলছে, রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬৪০টি সালমোনেলা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮৫ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

অধিকাংশ ঘটনাই যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ইউটাহ (৯০), অরেগন (৮৫), ক্যালিফোর্নিয়া (৭৬) ও মন্টানায় (৫২)। তবে ইলিনয়েও সংক্রমণের ৪১টি ঘটনা মিলেছে।

এদিকে কানাডার জনস্বাস্থ্য সংস্থ্যার হিসাবে সালমোনেলা সংক্রমণের ২৩৯টি ঘটনার মধ্যে ২৯ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। তবে প্রতিবেশী দুটি দেশে এই প্রাদুর্ভাবে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

ক্যালিফোর্নিয়া বেকার্সফিল্ডের কৃষিপণ্য সরবরাহকারী টমসন ইন্টারন্যাশনাল থেকে আসা লাল পেঁয়াজকে প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছে এফডিএ। দূষণের ঝুঁকির কারণে গত সপ্তাহে কোম্পানিটি ১ মে থেকে বাজারজাত করা পেঁয়াজ তুলে নিয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করছে এফডিএ।

গত সপ্তাহে টমসন বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডজুড়ে পাইকার, রেস্তোরাঁ ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এসব পেঁয়াজ সরবরাহ করা হতো। তবে রোববার প্রতিষ্ঠানটি কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।

টমসনের সরবরাহ করা পেঁয়াজ বা তা থেকে তৈরি খাবার অথবা সংশ্লিষ্ট যে কোনো পণ্য ফেলে দিতে ভোক্তাদের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। পেয়াজের সরবরাহকারী সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারলেও এসব পণ্য ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সিডিসি বলছে, সালমোনেলোসিস নামে এই রোগ চার থেকে সাত দিন থাকতে পারে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও দুর্বল মানুষেররা মারাত্মকভাবে আকান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।

এই রোগের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, জ্বর ও পেটব্যাথা। মারাত্মকভাবে আক্রান্তদের মধ্যে উচ্চ মাত্রার জ্বর, মাথাব্যাথা ও র‌্যাশ ও মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।

কর্নেল ইউনিভার্সিটির খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ের অধ্যাপক মার্টিন উইডম্যান বলেন, সামনের দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় এই সংক্রমণ মিলতে পারে। কারণ পেঁয়াজ খাওয়া, অসুস্থ হওয়া, পরীক্ষা করা ও প্রতিবেদন পাওয়ার মধ্যে বেশ অনেকটা সময়ের ব্যাপার আছে।