রুমা বসু

উদিত হলেন রবি বৈশাখ পঁচিশে।
অস্ত তার হয়েছিল শ্রাবণ বাইশে।
দ্বারকানাথের পৌত্র, দেবেন্দ্র তনয়,
পত্নী মৃণালিনীকে যে দিয়েছে প্রণয়।

ভানু কবি তুমি আছ বাঙ্গালীর মনে,
চিরকাল তাই থাক তুমি মোর সনে।
সব অনুভ‚তি নিয়ে লিখে গেছ তুমি,
তোমারই লেখা তাই, সব চেয়ে দামি।

কবি নাকি গীতিকার কিসে তুমি বড়ো?
নব এক শিক্ষা রীতি তুমি শুরু কর,
গুরু কুল ফিরিয়েছ উনিশ শতকে,
রাখি বন্ধনের ডাকে, বাঁধলে বঙ্গকে।

জায়া কন্যা প্রিয়জন ছেড়ে গেছে আগে,
কত যে বেদনা লেখা ছিল তব ভাগে।
যত বিচ্ছেদ ও শোক পেয়েছিলে তুমি,
ততবার আরো শক্ত করেছিলে ভ‚মি।

লেখার প্রথম পাঠিকা কাদম্বরী ছিল
কবি হৃদে তার মৃত্যু বড় ব্যথা দিল।
কবিগুরু কত শত আঘাত সয়েছে,
প্রতিটা আঘাত তাকে দৃঢ?তা দিয়েছে।

দীর্ঘায়ু আশীর্বাদ না অভিশাপ ছিল?
কত কনিষ্ঠের মৃত্যু কবি দেখে গেল।
“মরন রে তুহু মম শ্যাম সম”, লিখে,
কষ্ট-তাপ সহ্য করা নাও তুমি শিখে।

মিলিয়ে দিয়েছ তুমি তোমার সৃষ্টিতে,
সৃষ্টিকর্তা আর মানব প্রার্থনা- প্রেমেতে।
কবিগুরু মানে তোমা সব বঙ্গবাসী
সাহিত্যে নোবেল দিল তাই বিশ্ববাসী\
অটোয়া, কানাডা