মুরশাদ সুবহানী : বিশ শতকের বাঙালি কবিদের মধ্যে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের সমকালের কবিদের অনেককেই আমরা মনে রাখিনি। তাঁরা হারিয়ে গেছেন। কিন্তু এক গভীর বিস্ময় জাগিয়ে বাঙালির মনে অম্লান হয়ে আছেন, স্বত:ষ্ফূর্ত শক্তিতে উদ্ভাসিত কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কাব্য প্রতিভা। তাঁর মধ্যে ছিল একটি পরিপূর্ণ কাব্য প্রতিভা। তিনি ছিলেন, মাকর্সীয় দর্শনে বিশ্বাসী এবং কমিউনিস্ট পার্টির একজন কর্মী।

তাঁর সব কবিতা সমাজতান্ত্রিক নিরেট দর্শন থেকে উঠে আসেনি। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা উঠে এসেছে নির্যাতিত, মানুষের দু:খ-দারিদ্রক্লিষ্ট মানুষের ‘জীবনবোধ’ থেকে। তাঁর সমকালের কবিদের ঊর্ধে উঠে গেছেন। তুচ্ছ ঘটনাকে তিনি কাব্য ভাষা দিয়ে কবিতা করে তুলেছেন। তার কবিতা জীবনমুখী। “কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যভাষার শক্তি ও সৌন্দর্যকে অতি সহজেই আয়ত্ত করে নিয়েছিলেন তিনি।” প্রায় একই বিষয় নিয়ে লিখে তাঁর সমকালের অনেকেই হারিয়ে গেছেন। হারিয়ে যাননি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। তাঁর কাব্য প্রতিভা ছিল উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। যে কারণে তিনি বাঙালি কবি মানসে নক্ষত্রের মত জ্বলজ্বল করছেন।

আমাদের বাংলা সাহিত্যে নানা দর্শন-তত্ত¡ এবং তত্তে¡র বাইরে কবিতা রচিত হয়। যারা দর্শন তত্তে¡র বাইরে থেকে নিজেদের নিরপেক্ষ রেখে কবিতা লেখেন, তাদেরও কোন না কোন দর্শন আছে। মানুষ দর্শন তত্তে¡র বাইরে নয়। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য সরাসরি কাল মার্কস-এর সমাজতান্ত্রিক তত্তে¡র বিশ্বাসী এবং কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী ছিলেন। তবে তাঁর সবগুলো কবিতা সাম্যবাদী দর্শন নির্ভর তা নয়। সমাজ-রাষ্ট্রের মানুষকে তিনি অনুকরণ করেছেন, তী² দৃষ্টি দিয়ে। যে কারণে কবি সুকান্ত বাংলা সাহিত্যে তাঁর আলাদা জায়গা করে নিতে পেরেছেন। জনপ্রিয় হয়েছেন। “তাঁর কবিতার সাথে যাঁরা একমত তারাও যেমন তাঁর কবিতার ভক্ত তেমনি যাঁরা তাঁর কাব্য বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিরোধী তাঁরাও তাঁর কবিতাকে ভালো না বেসে পারেননি।” এখানেই স্বতন্ত্র কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য।
‘বন্ধু, তোমার ছাড়ো উদ্বেগ, সুতী² কর চিত্ত,
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।
মূঢ় শত্রুকে হানো স্রোত রুখে, তন্দ্রাকে কর ছিন্ন,
একাগ্র দেশে শত্রুরা এসে হয়ে যাক নিশ্চিহ্ন।…
……………………………………………..
(পূর্বাভাস কাব্য গ্রহ্ণ, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য)

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের এই কবিতা কারো অপছন্দ হওয়ার কথা নয় যাঁরা কাব্যপ্রেমী তাঁদের কাছে। আগেই আমরা বলেছি, তাঁর বিরোধীরা তাঁর কবিতাকে পছন্দ না করে পারেননি। তবে তাঁরা বিরোধীরা এটাকে গ্রহণ করেছেন তাদের দর্শনে তা নয়। বলছি; পছন্দের কথাটা। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভক্তরা তো পছন্দ করবেন এটাই স্বাভাবিক। ভক্ত-অনুরক্ত আর বিরোধী সবার কাছেই তিনি কবি হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন।

আগেই উল্লেখ করেছি, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাকে তিনি আয়ত্ত করেছিলেন শিশু বয়সেই। প্রশ্ন জাগে কেমন করে? আমরা শিশু বয়সে মা, বাবা, দিদা এই শব্দগুলো কি করে শিখি? শুধু শিখিই না, তাদের চিনতে শুরু করি। শিশু এই শব্দের বোল শেখে তার মাতা-পিতা পরিবারের বড়দের কাছ থেকে। ঠিক এমনটাই ঘটেছিল, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের যখন জন্ম হয়, “তাঁর পিতা ও জ্যাঠামশায়ের একান্নবর্তী পরিবার ছিল। সচ্ছলতাও ছিল। এই সময় তাঁরা বাগবাজারে নিবেদিতা লেনের একটি দোতালা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বিশাল এই বাড়িতে লোকজন ছিল অনেক।”
এই বাড়িতে শিশু সুকান্তের দিন কেটেছে কখনও ঠাকুমার ঘরে কখনও বা রানীদির কোলে। রানীদি ছিলেন, সুকান্তের জ্যাঠাতো বোন এবং বাড়ির একমাত্র কিশোরী। সুকান্তের এই বোনের কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক কবিতা, গল্প মুখস্থ ছিল। শিশু সুকান্তকে কোলে নিয়ে তিনি আপন মনে রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করতেন।”

মনে হয় এই সময়ই শিশু সুকান্তের মন ও মননে-মগজে প্রোথিত হয় কবি গুরু রবি ঠাকুরের কবিতা এবং কাব্যের বীজ রোপিত হয়। তাঁর মা সুনীতি দেবীও “রামায়ণ, মহাভারত পড়ায় অভ্যস্ত ছিলেন।” রামায়ণ, মহাভারত আর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা শিশু সুকান্তের মনে কাব্য প্রতিভার সৃষ্টি করেছিল। তাঁর বুদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে তিনি নিজেও অধ্যয়ন করে আয়ত্ত করে নিয়েছিলেন কবিতার কলা কৌশল।

নয়-দশ বছরের শিশু সুকান্ত ভট্টাচার্য কৈশোরে পদার্পণের আগেই অনেক ছড়া লিখে স্থানীয় ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রশংসা লাভ করেন। তাঁর মধ্যে ক্রমেই পরিপূর্ণ এক কবি শক্তি উদ্ভাসিত হয়ে উঠে।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিবেদন করে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কবিতা লেখেন। তিনি লিখলেন, “এখনো আমার মনে তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতি,
প্রত্যেক নির্ভৃত ক্ষণে মত্ততা ছড়ায় যথারীতি, এখনো তোমার গানে সহসা উদ্বেল হয়ে উঠি,
নির্ভয়ে উপেক্ষা করি জঠরের নি:শব্দ ভ্রূকুটি।
… … …
যদিও রক্তাক্ত দিন, তবুও দৃপ্ত তোমার সৃষ্টিকে
এখনো প্রতিষ্ঠা করি আমার মনের দিকে দিকে।
……………………………………………………
তাই আমি চেয়ে দেখি প্রতিজ্ঞা প্রস্তুত ঘরে ঘরে,
দানবের সাথে আজ সংগ্রামের তরে।”
(রবীন্দ্রনাথের প্রতি, ছাড়পত্র কাব্য গ্রন্থ, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য)

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণকালে তাঁর এই কবিতা রেডিওতে গল্পদাদুর আসরে পঠিত হয়। আলোকোজ্জ্বল পৃথিবীর জন্য নিবেদিত সৃষ্টি কর্মের একনিষ্ঠ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জীবদ্দশায় কোন কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি এ কথাটি সবাই জানেন। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সাময়িকী পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ছাড়পত্র প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালে। এর আগেই ছাড়পত্র নামে কবিতাটি লেখা হয়েছিল। তাঁর ছাড়পত্র কবিতাটি পাঠক নিবিড়ভাবে পাঠ করলে বুঝতে পারেন; আধুনিক কবিতা কিন্তু এর মধ্যে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছন্দ-তাল আছে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ছাড়পত্র কবিতায় সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্যে শিশু (এক শিশু বলতে পৃথিবীর সব শিশুকেই বুঝিয়েছেন) কাল মাকর্সীয় সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা-রাষ্ট্রের জন্যে বাসযোগ্য করে যাবেন, এটি সরাসরি ব্যক্ত করেননি। স্পষ্ট করে না বললেও অব্যক্ত বলে একটি কথা আছে; তাঁর মধ্যে সেটি বুনন করেছেন, অব্যক্তভাবে।
‘……. এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি-
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
অবশেষে সব কাজ সেরে,
আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে
করে যাব আর্শীবাদ,
তারপর হব ইতিহাস।’

বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করার জন্য তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন। তারপর হতে চাইলেন, ইতিহাস। তাঁর লালিত স্বপ্নে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোতে রাষ্ট্র হলেও সেই সব রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক দর্শন টিকে থাকেনি। কারণ দর্শন তত্ত¡ সব সময় বিবর্তনশীল।

“কবি সুকান্তের পরিপূর্ণ কবি জীবনের শুরু দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কালে।” তখন তার বয়স চৌদ্দ-পনের বছর। কিশোর সুকান্ত কবি হয়ে উঠছেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মৃত্যু-তাড়িত বিভীষিকাময় পরিবেশ তাঁকে এক দিকে কবি অন্যদিকে বিপ্লবী করে তুলেছিল। হিটালারের নিষ্ঠুর বাহিনী যারা নাত্সী বা নাজী নামে পরিচিত) ছোট ছোট দেশগুলোকে গিলে ফেলছে। মানুষ মরছে, ধ্বংস হচ্ছে সভ্যতা। ভারতবর্ষের মাটিতে অবশ্য তখনও যুদ্ধের তান্ডব শুরু হয়নি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের উপর যে বর্বর-নিষ্ঠুর হামলা সেটা কিশোর সুকান্তের মনে গভীরভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তাঁর মনে সংশয় দেখা দেয় পৃথিবীর টিকে থাকা নিয়ে। ছাড়পত্র কবিতার মধ্যেও যুদ্ধহীন এক সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবীর চিন্তা করেছেন তিনি নবাগতদের জন্যে।

১৯৪০ সালের শেষের দিকে তাঁর লেখা কবিতার প্রতিক্রিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ রূপের চিত্র ফুটে ওঠে, ফুটে ওঠে তাঁর মানসিক যন্ত্রণা স্পষ্টভাবেই।

“দূর পূর্বাকাশে বিহ্বল বিষণ উঠে বেজে
মরণের শিরায়।
মুমূর্ষূ বিবর্ণ যত রক্তহীন প্রাণ
বিস্ফোরিত হিংস্র বেদনায়।
অসংখ্য স্পন্দনে চলে মৃত্যু অভিযান
রৌহের দুয়ারে পড়ে কুটিল আঘাত
উত্তপ্ত মাটিতে ঝরে বর্ণহীন শোনিত প্রপাত।”
(পূর্বাভাস, কবি সুকান্ত ভট্টাচায)

“ভয়ার্ত শোনিত চক্ষে নামে কালো ছায়া
রক্তাক্ত ঝটিকা আনে মূত-শিহরণ
দিক্ প্রান্তে শোকাতুরা হাসে ক্রূর হাসি;
রোগগ্রস্ত সন্তানের অদ্ভূত মরণ।”
(নিবৃত্তির পূর্বে, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য)

মৃত্যু পথে যাত্রা করেছে যুদ্ধে যে পৃথিবী, সেই পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষের প্রতি কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের হৃদয়েরে গভীরে বেদনার রক্তপাত অনুভব করা যায়; উপরের কবিতাগুলোর মধ্যে। যুদ্ধহীন, রক্তপাতহীন এক সুন্দর পৃথিবীর আকাক্সক্ষা নিয়ে তাঁর আরো কয়েকটি কবিতা আছে। লেখার সময় আমাদেরকে কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে।

আর একটি বিষয় কবি সুকান্তের মনে গভীরভাবে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল তা হলো; দুর্ভিক্ষপীড়িত সময়কাল।

কবি সুকান্তের মনে দুর্ভিক্ষপীড়িত হৃদিমাঝে ক্ষত সৃষ্টি করেছিল। তেরশ’ পঞ্চাশের মন্বন্তর। দুর্ভিক্ষ-পীড়িত মানুষের মাঝে বেলেঘাটা জনরক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে একজন কর্মী হিসেবে কয়েকজনের সাথে তাঁকে দাঁড়াতে হয়েছিল সেবার কাজে। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন ক্ষুধার্ত মানুষের যন্ত্রণা। কবি সুকান্ত মন্বন্তরে মানুষের অপমৃত্যু দেখছেন নিজ চোখে। এর আগেই জাপানী বাহিনীর বোমারু বিমান ভারতবর্ষে (বর্তমানে বাংলাদেশের) চট্টগ্রামে প্রচন্ড হামলা শুরু করেছে।
‘সূর্য সেনের কর্মভূমে বহু শহীদের রক্তে রঞ্জিত। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখলেন,

‘চট্টগ্রাম : বীর চট্টগ্রাম
এখনও নি:স্তব্ধ তুমি
তাই আজও পাশবিকতার
দু:সহ মহড়া চলে
তাই আজও শত্রুরা সাহসী’

একদিকে, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ অন্য দিকে দূর্ভিক্ষ-পীড়িত মানুষের লাশ কবি সুকান্তকে বিচলিত করে তোলে। ‘আকাল’ নামে প্রকাশিত সংকলনে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ভূমিকায় লিখলেন, “বাংলা দেশের কবিরা কি চিত্তে ও চিন্তায়, ধ্যানে ও জ্ঞানে, প্রকাশে ও প্রেরণায় জনসাধারণের অভাব-অনাহার, পীড়া-পীড়ন আর মৃত্যু-মন্বন্তরকে প্রবলভাবে উপলব্ধি করেন? তাঁরা কি নিজেকে মনে করেন দুর্গতজনের মুখপাত্র? তাঁদের অনুক্ত ভাষাকে কি করেন নিজের ভাষায় ভাষান্তরিত? এক কথায় তাঁরা কি জনমনের কবি কি?’
সেই সময় যাদের কবিতার ভাষা ছিল স্তব্দ। জনগণ যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষে মারা গেলেও সেই সব কবিরা তাদের নিজের ভাষাকে ভাষান্তরিত করেননি আসলে তাদেরকে তিনি জাগাতে চেয়েছেন এই ভূমিকার মাধ্যমে। এই সব প্রশ্নের ‘আংশিক উত্তর পাওয়া যায় ‘আকাল’ এ প্রকাশিত বিভিন্ন কবির কবিতায়’ তবে চূড়ান্ত জবাব দিয়েছেন, অসীম সাহসী কবি সুকান্ত ভট্টাচায নিজেই।

এই সময় তাঁর লেখা কবিতা ‘বিবৃতি’, ‘রবীন্দ্রনাথের প্রতি’, ‘বোধন’, ফসলের ডাক’, ‘এই নবান্ন’ ইত্যাদি কবিতায়। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য নিজে দু:খ-দুর্দশার মধ্যে থেকে মাত্র দশ –বারো বছর থেকে যৌবনের প্রারম্ভে পদার্পণের সময়কালে অকাল প্রয়াণে যাওয়া কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য একদিকে মানুষের জন্যে জীবনমুখী কবিতা রচনা করা অন্যদিকে রাজনৈতিক কাজ-কর্ম করা এক অসাধারণ প্রতিভা ছাড়া সম্ভব নয়। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ছিলেন ঠিক তাই। তাঁর লেখালেখির সময়কাল ছিল খুব অল্প মাত্র ৭ বছর। এই সল্প সময়ে তিনি কবিতা ছাড়াও লিখেছেন, গান, গল্প, নাটক প্রবন্ধ। তিনি বিচরণ করতে চেয়েছিলেন, সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় কিন্তু যৌবনের প্রারাম্ভেই মাত্র ২১ বছর বয়সে কলকাতার রেড এন্ড কিওর হোমে দুরারোগ্য ক্ষয়রোগে তিনি মৃত্যুবরণ। বিগত ১৩ মে, ২০২১ ছিলো সুকান্ত ভট্টাচার্য এর ৭৪তম প্রয়াণ দিবস । তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ফ্লোরিডা, ইউএস প্রবাসী