Home অর্থনীতি করোনায় পুঁজি হারিয়ে অসহায় গারো নারীরা

করোনায় পুঁজি হারিয়ে অসহায় গারো নারীরা

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী-বহরমপুর সড়কের বংশাই নদীর সরু ব্রিজ পেরুলেই ওপাড়ে পাহাড়ি উঁচুটিলা। লালমাটির এ মালভূমির প্রান্ত জুড়ে আনারস&comma; কলা আর গাছগাছালির সমাহার। সবুজ গাছপালার ফাঁকে ছবির মতো সাজানো গোছানো মাটির ঘর। এ শান্ত সুনিবিড় ঘরবাড়িতে যারা বসবাস করেন তারা গারো। টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। যারা নিজেদের আদিবাসী পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। এটি মধুপুর উপজেলার একটি পাহাড়ি জনপদ।<&sol;p>&NewLine;<p>এ গ্রামের মেয়ে মাধুরী দালবৎ। মা গিলিতা দালবৎ। বাবা স্বর্গীয় তনেত নকরেক। মাতৃতান্ত্রিক পরিচয়ে অভ্যস্ত গারোরা মায়ের উপাধিই গ্রহণ করেন। সাত ভাইবোনের মেঝো মাধুরী। পীরগাছা খৃস্ট মিশন হাইস্কুল থেকে ২০০০ সালে এসএসসি পাশ করেন। এতোসব ভাইবোনের সংসারে লেখাপড়া আর এগোতে পারেনি। মধুপুর বনাঞ্চলে ১৯৮৬ সালে বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থা প্রায় à§­ হাজার একরে রাবার বাগান করেন। সেই বাগানে ধরাটি গ্রামের সাড়ে চারশ একর পাহাড়ি জমি কেড়ে নেয়া হয়। যেসব গোষ্ঠী বা মাহারীর জমি রাবার বাগান গিলেছে এর মধ্যে মাধুরীর গোষ্ঠীও ছিল।<&sol;p>&NewLine;<p>যাই হোক&comma; বেঁচে থাকার তাগিদে মাধুরীকে আয় রোজগারের পথে নামতে হয়। এতো অল্প লেখাপড়ায় ভালো চাকরি জোটানো ছিল দুঃসাধ্য। তাই এক আত্মীয়ার হাত ধরে পাড়ি জমান সিলেট। সেখানে বানথাই পার্লারে বিউটিশিয়ান হিসাবে কাজ নেন। ৬ মাস ছিলেন শিক্ষানবিশ। এরপর টানা এক যুগ সৌন্দর্য চর্চার কাজে হাত পাকান। কালক্রমে হয়ে উঠেন অলরাউন্ডার বিউটিশিয়ান। ২০১৪ সালে পার্লারের চাকরি ছাড়েন। নিজেই ব্যবসা দাঁড়ানোর চিন্তা করেন। নিজের কিছু জমি বন্ধকী ও বিক্রি&comma; হাতে জমানো সামান্য পুঁজি এবং অনেকটা ধারকর্জ করেই সিলেট শহরে আরম্ভ করেন পার্লার ব্যবসা। এভাবেই ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার খাতায় নাম লিখেন মাধুরী।<&sol;p>&NewLine;<p>বর্তমানে সিলেট শহরের নয়া সড়কে ইমেজ বিউটি পার্লার নামে দুটো শাখার মালিক মাধুরী। দশ জন আদিবাসী গারো মেয়ে এখানে চাকরী করেন। মাধুরীর দেখাদেখি বছর তিনেক আগে মধুপুর উপজেলার বেড়িবাইদ গ্রামের প্রতিভা সিংসাম সিলেট শহরের কুমার পাড়ায় &OpenCurlyQuote;ফ্যাসান কেয়ার বিউটি পার্লার’ এবং ভেদুরিয়া গ্রামের অর্চনা নকরেক &OpenCurlyQuote;অর্চনা বিউটি পার্লার’ চালু করেন। সিলেট শহরে মোট ১২টি বিউটি পার্লারের মালিক এখন গারো মেয়েরা। সবাই পার্লারের চাকরিতে হাত পাকিয়ে তারপর ব্যবসা দাড় করান। এ জন্য সবাইকে গ্রামের জমিজমা বন্ধকী&comma; বিক্রি বা ব্যাঙ্ক ঋণ নিতে হয়। সিলেটের এসব পার্লারে মধুপুর ছাড়াও শেরপুর&comma; ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনার দুই শতাধিক গারো&comma; হাজং ও কোচ মেয়েরা বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন। এখন এটিই তাদের জীবন জীবিকা।<&sol;p>&NewLine;<p>মাধুরী আরো জানান&comma; একে নারী&comma; তাও আবার আদিবাসী&excl; এমন ভাগ্য বিড়ম্বিত জনগোষ্ঠীর মানুষ হিসাবে তাকে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়। মোকাবেলা করতে হয় অনেক চ্যালেঞ্জ। কথাটা বলতে যতোটা সহজ স্বাধীনভাবে পথ চলাটা অতো সহজ ছিল না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী হওয়ায় অনাত্মীয় শহরে ব্যবসার শুরুটা ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শুধুমাত্র নিজের প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমকে পুঁজি করে তিনি সফলতার মুখ দেখেন।<&sol;p>&NewLine;<p>বলা অনাবশ্যক&comma; মধুপুর বনাঞ্চলের অধিকাংশ গারোই দরিদ্র। চিরায়ত জীবন ব্যবস্থাকে আঁকড়ে থাকার প্রবণতা তাদের মধ্যে প্রকট। শাল বন উজাড় হওয়ায় তাদের প্রাকৃতিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়। জীবন জীবিকা নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় টানাপড়েন। মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার দরুন সংসারের পরিবর্তিত চ্যালেঞ্জটাকে মেয়েদেরই সামলাতে হয়। তাই জীবিকার প্রয়োজনে নিত্যনতুন সমস্যাকে জয় করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন তার মতো পাহাড়ি কন্যারা।<&sol;p>&NewLine;<p>মাধুরী জানান&comma; নিজের দুটি পার্লার থেকে বেশ আয় রোজগার হয়। নিজে ভালোভাবে খেয়ে পড়ে পরিবারকেও সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। দশজন হতদরিদ্র গারো মেয়ে এখানে চাকরী করেন। তাদের রোজগারেই পরিবার চলে। কিন্তু মহামারী করোনা বিউটি পার্লার ব্যবসাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>মাধুরী নিজের দুর্দশা জানাতে গিয়ে বলেন&comma; করোনার কারণে টানা তিন মাস ধরে দোকান বন্ধ। সকল বিউটিশিয়ানকে গত মার্চে এক মাসের বেতন দিয়ে ছুটি দেয়া হয়। তারা সবাই গ্রামে চলে যায়। সেখানেও তাদের খুবই দুরবস্থা। পাহাড়ে দিনমজুর করে আধপেটা দিন পার করছেন তারা। তিনি আশায় ছিলেন&comma; হয়তো মে মাসে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এ জন্য সিলেট শহরেই থেকে যান। পার্লারের দুটি দোকান বাবদ ৪৮ হাজার&comma; বাসা ভাড়া বাবদ ১০ হাজারসহ মোট à§«à§® হাজার টাকা মাসে পরিশোধ করতে হয়। লকডাউন শেষ হবার পর ধারনা করেছিলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। শহরে মেয়েরা আবার সাজঁতে আসবেন। বিয়ে শাদী&comma; পার্টি&comma; সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন চাঙ্গা হবে। তখন সাঁজগোজ সরব হয়ে উঠবে পার্লার। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। তিন সপ্তাহ পার হলেও কেউ পার্লার মুখো হচ্ছেন না।<&sol;p>&NewLine;<p>করোনার ভয়ে সৌন্দর্য চর্চার জন্য কেউ আসছেন না। দোকানভাড়া&comma; বিদ্যুৎ বিল&comma; সরকারি-বেসরকারি ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। অথচ কাজ না থাকায় দিন দিন লোকসান বাড়ছে। এখন ধারকর্জ করে দোকান চালাচ্ছি। কতদিন এভাবে চলবে কে জানে। মিডিয়া মারফত জানতে পারলাম&comma; সরকার বিউটি পার্লারকে শিল্প হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমাদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা&comma; যারা ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়া নারী&comma; তাদের বিষয়ে সরকার যেন দ্রুত সুনজর দেন। প্রণোদনা যেন নিশ্চিত করেন।<&sol;p>&NewLine;<p>মধুপুর উপজেলার চুনিয়া গ্রামের বিউটি মৃ ও রুবিনা রেমা। পাশাপাশি বাড়ির মেয়ে। একদম হতদরিদ্র। পীরগাছা খৃস্ট মিশন হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে উঠার পর দারিদ্র্যতার দরুন শিক্ষাঙ্গন ছাড়েন। রুবিনা দৈনিক ইত্তেফাককে জানান&comma; পেটের তাড়নায় ২০ বছর আগে বাড়িঘর আর স্কুল ছেড়ে ঢাকা শহরে পাড়ি জমিয়েছিলাম। কানিস আলমাসের পার্সোনা বিউটিসহ টানা দশ বছর বিভিন্ন পার্লারে বিউটিশিয়ান হিসাবে কাজ করেছি। à§§à§§ সালে বিউটি মৃর সাথে মিলে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে ফিমেল ওয়ার্ল্ড নামে একটি পার্লার চালু করি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পার্লারটি ফার্মগেটে স্থানান্তর করা হয়। মাসে ২৪ হাজার টাকা ভাড়ায় ৬০ হাজার টাকা মালিককে এডভান্স করা হয়। ব্যবসার কাজের জন্য ঢাকা ক্রেডিট ব্যাংক থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ নেয়া হয়। কিন্তু মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন দোকানে উঠার পরই শুরু হয় করোনার দাপট। গত ২২ মার্চ দোকান বন্ধ রেখে গ্রামে চলে আসি। কিন্তু দোকান ভাড়া&comma; বিদ্যুৎ বিল&comma; ব্যাংক ঋণের সুদ ও নানা ধরনের ট্যাক্স ঘাড়ের উপর ক্রমাগত চেপে বসছে।<&sol;p>&NewLine;<p>এর মধ্যে ঢাকায় গিয়ে যেসব বন্ধুরা পুনরায় দোকান খুলেছেন তারা হতাশ। গ্রাহক নেই। হাতে কাজ নেই। সবারই ক্রমাগত ঋণের বোঝা বাড়ছে। তার দোকানে à§® জন গারো মেয়ে কাজ করতেন। তারা খুবই গরীব। তাদের আয়ের উপর বৃদ্ধ বাবা-মার ভরণপোষণ&comma; ভাইবোনের লেখাপড়া চলতো। এসব বেকার মেয়েরা এখন পাহাড়ে দিনমজুর করে পেট চালাচ্ছে।<&sol;p>&NewLine;<p>ইদিলপুর গ্রামের গারো তন্বি মৌচাম্বু গং। অভাবের সংসারে হাল ধরার জন্য লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে দেড় দশক আগে বিউটিশিয়ানের পেশা বেছে নেন। সাত বছর আগে যশোর শহরের আখ বাজারের আর এন রোডে আর্টিস্টিক ব্রাইডাল এন্ড বিউটি কেয়ার নামে একটি পার্লার চালু করেন। চার জন গারো মেয়েকে জব দেন। বেশ ভালোই চলছিলো দিনকাল। কিন্তু করেনা ব্যবসাকে তছনছ করে দিয়েছে। মার্চে দোকান বন্ধ করে গ্রামে যান। দুই সপ্তাহ আগে যশোরে গিয়ে দোকান খুলেছেন। কিন্তু সেবাগ্রহীতার সংকট।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি জানান&comma; প্রতিবছর ঈদ মৌসুমে সবচাইতে বেশি আয় হয়। কিন্তু এবার সকল মানুষের জন্য ঈদ যেমন ছিল বিবর্ণ&comma; তেমনি তার মতো বিউটিশিয়ানের জন্য পর্বটা ছিল বড়ই বঞ্চনার। কারণ দুই ঈদ&comma; পূজা পার্বণ&comma; বড় দিন এবং শীতের বিয়ে দিকে পার্লার ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে থাকেন। তার দোকান ও বাসা ভাড়াসহ সাংসারিক খরচ মাসে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। অথচ চার টাকা কামাই হচ্ছেনা এখন। তার সাথে যেসব গারো মেয়েরা কাজ করতেন তারা গ্রামেই রয়ে গেছে। এসব বেকার মেয়েদের আরো দুর্দিন।<&sol;p>&NewLine;<p>একইভাবে জলছত্রের উষ্ণতা বর্মন&comma; চুনিয়ার জবা আরেংসহ শতাধিক আদিবাসী গারো নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ঘুরেফিরে একই চিত্র&comma; একই কাহিনী। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কামাই রোজগার নেই। দোকান&comma; বাড়ি ভাড়া&comma; বিদ্যুৎ বিল ও ট্যাক্স নিয়মিতই দিতে হচ্ছে। ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। সব ঋণের জট বাঁধছে। সব মিলিয়ে হতাশাগ্রস্ত তারা।<&sol;p>&NewLine;<p>বেসরকারি সংস্থা সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট &lpar;সেড&rpar; এর সাম্প্রতিক গবেষণা গ্রন্থ &&num;8216&semi;মধুপুর&comma; দ্যা ভ্যানেসিং ফরেস্ট এন্ড হার পিপল এগনী&&num;8217&semi; গ্রন্থে দেখা যায় মধুপুর বনাঞ্চলের ৪৪টি গ্রামে প্রায় à§§à§­ হাজার গারোর বসবাস। এদের মধ্যে ৯ হাজার ৩৩১টি পরিবারের à§§ হাজার à§§à§©à§§ জন নারী ঢাকা&comma; সিলেট&comma; চট্টগ্রাম&comma; খুলনা&comma; রাজশাহী মহানগরীতে বিউটিশিয়ান হিসাবে কাজ করেন। গারোদের দেখাদেখি আদিবাসী কোচ সম্প্রদায়ের শতাধিক তরুণী এখন বিউটি পার্লারে কাজ করেন।<&sol;p>&NewLine;<p>গারো নারী সংগঠন আচিক মিচিক সোসাইটির সভাপতি সুলেখা ম্রাং জানান&comma; গ্রাম থেকে নগরে গিয়ে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যেসব গারো মেয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসাবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাদের প্রত্যেকের জীবন একেকটি সাফল্যেও গল্প। নিজের পায়ে দাড়াতে কেউ তাদের সহায়তা করেনি। এরা লড়াই করে শুধু নিজের পায়েই দাঁড়ায়নি&comma; প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হতদরিদ্র শতশত মেয়ের কর্মসংস্থান ও সৃষ্টি করেছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সংগ্রামী এসব গারো মেয়েরা করোনায় এখন ক্ষতবিক্ষত। তাদের পাশে প্রণোদনা নিয়ে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রখ্যাত গারো গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং আপসান এর কর্ণধার মুনমুন নকরেক জানান&comma; গারোরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। পিছিয়ে পড়া এ নৃ-গোষ্ঠীর রমণীদের জীবন সংগ্রাম অনেক কঠিন। বনজঙ্গল উজাড় হওয়ায় তাদের চিরায়ত জীবন জীবিকার অবলম্বন হারিয়ে যেতে বসেছে। নগরজীবনে প্রবেশ করে বিরূপ পরিস্থিতিকেও তাদের সামলাতে হচ্ছে। নানা বঞ্চনা সত্যেও বিউটি পার্লার খাত নিয়ে যেসব গারো মেয়েরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন তাদের সামনে বড় বাধা মহামারী করোনা। এ সময় সরকারের দায়িত্ব গারো নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানো। নইলে এ পেশায় তারা টিকতে পারবেনা।<&sol;p>&NewLine;<p>এদিকে গত à§§à§­ মে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির &lpar;বিডব্লিউসিসিআই&rpar; এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিউটি পার্লার নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট মানবিক আবেদন জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়&comma; কোভিড -১৯ এর কারণে সারাদেশে প্রায় à§§à§« হাজার বিউটি পার্লার বন্ধ হয়ে গেছে। এর সাথে à§§à§« হাজার নারী উদ্যোক্তা জড়িত। একই সঙ্গে প্রায় দেড় লক্ষ নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে এতে জড়িত। এসব উদ্যোক্তাদের বাড়িভাড়া ভ্যাট&comma; ইউটিলিটি&comma; বেতন ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় ছয় মাসের জন্য ভ্যাট ট্যাক্স অব্যাহতির দাবি জানায় চেম্বার।<&sol;p>&NewLine;<p>চেম্বারের এ দাবির প্রেক্ষিতে সরকার গত à§­ জুন এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশের বিউটি পার্লার তথা সৌন্দর্য সেবা খাতকে শিল্প খাত হিসাবে ঘোষণা দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো&period; সেলিম উল্লাহ মিডিয়াকে জানান&comma; সরকার এ সেবা খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে আগ্রহী । উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে সৌন্দর্য সেবাখাত শিল্পখাতের মর্যাদা দেয়ায় সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। সিংহভাগ নারী চালিত এ অনানুষ্ঠানিক খাতকে মূল ধারায় নিয়ে এসে সরকার বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে চায়।<&sol;p>&NewLine;<p>মো&period; সেলিম উল্লাহ আরো জানান&comma; শিল্পখাতের মর্যাদা প্রাপ্তির ফলে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেতে সুবিধা হবে।<&sol;p>&NewLine;<p>এদিকে শিল্পখাতের মর্যাদা প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিউটি সার্ভিস ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট কানিজ আলমাস খান। তিনি দৈনিক ইত্তেফাককে জানান&comma; প্রায় ৬ দশকের পথচলা সত্যেও এ শিল্পের সুনির্দিষ্ট অবকাঠামো বা স্বীকৃতি ছিলনা। দেশের অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিসত্তার গারো নারীরা এখাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তাদেরকে আরো দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তুলে এ খাতকে আরো চাঙ্গা করা যাবে।<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version