অনলাইন ডেস্ক : ম্যাকগিলের ম্যাকডোনাল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিংয়ের একটি ল্যাবে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের প্রস্রাব পায়খানাসহ তরল বর্জ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল এসব বর্জ্যরে মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ আছে কি না তা খঁজে দেখা। এই পদ্ধতিতে করোনা সংক্রমণ রোধে ভাল ফল পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই মুহূর্তে বেশিরভাগ টেস্টের ফলাফলই ‘নেগেটিভ’। অর্থাৎ সংক্রমণ হ্রাসের হার ইতিবাচক।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ‘তরল বর্জ্য পরীক্ষা পদ্ধতি’ চালিয়ে আসছে। এতে মহামারি পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিদিনই আরো ভাল ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এই পরীক্ষার ফলাফলের সাথে অন্যান্য পদ্ধতিতে পাওয়া ফলাফলের তুলনা করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একটি স্বচ্ছ ধারণা সবার সামনে তুলে ধরতে পারছেন। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি টয়লেট থেকে ফ্লাশ করা তরল বর্জ্য পরীক্ষা করে দেখা হয় সেখানে সার্স অথবা কোভিড বাইরাসের জীবাণু আাছে কি-না। এতে ওই নির্দিষ্ট টয়লেট ব্যবহারকারিরা করোনার লক্ষণযুক্ত কিনা তা জানা যায়।

এই প্রকল্পের নেতৃত্বদানকারি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক স্টেফানি লোয়েব বলেন, এই মুহূর্তে বর্জ্যজল পরীক্ষার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কেননা পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিকের কাছাকাছি ফিরে এসেছে। ফলে অনেকেই আর করোনা টেস্ট করাতে আগ্রহী নন। এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি আবার চুপিসারে বিস্তারের থাবা বসায় কিনা তা জানতে ‘তরল বর্জ্য পরীক্ষার বিকল্প নেই। পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে প্রফেসর লোয়েব একটি থ্রিডি মুদ্রিত প্লাস্টিকের স্যাম্পলার দেখিয়ে বলেন, আমরা এটিকে টর্পেডো বলি।

স্যাম্পলারগুলোর আকৃতির কারণে ল্যাবে এটিকে এই নামে ডাকা হয়। এসব টর্পেডো বিশেষ পদ্ধতিতে টয়লেটের এক্সিট পাইপে ডুকিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রতিদিন এসব বর্জ্য ল্যাবে এনে বিশ্লেষণের করা হয়। নমুনাগুলো পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের পর বাসিন্দাদের প্রতি নজরদারি বাড়ানো বা কমানো হয়। তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যদি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগুলোকে ট্রাক করেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন ছাত্রাবাসগুলোর কোন বিল্ডিংয়ের কী অবস্থা। সেই অনুযায়ী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে আপনি খুব ভালভাবে মহামারিটির বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হবেন’। সূত্র : সিবিসি