অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য লড়াই করছে কানাডা। এই মুহূর্তে তারা কনকাকাফ অঞ্চলের গ্রুপের শীর্ষে আছে। এই অবস্থান ধরে রাখতে পারলেই তারা ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গত শুক্রবার তারা কোস্টরিকাকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপে ১ম স্থানে ওঠে আসে। ৮ দলের গ্রুপে তাদের পরে রয়েছে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। এই গ্রুপ থেকে প্রথম ৩টি দল সরাসরি খেলবে কাতার বিশ্বকাপে। ৪র্থ দলকে যোগ্যতা অর্জনের জন্য মুখোমুখি হতে হবে প্লে-অফের।

এদিকে কানাডা দলকে উজ্জীবিত করতে আয়োজন করা হয়েছে একটি প্রদর্শনীর। সেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে ৩৬ বছর আগের একটি বল। সে বলটি ব্যবহৃত হয়েছিল ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলায়। সে খেলায় কানাডা তাদের প্রতিপক্ষ হন্ডুরাসকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে স্থান করে নিয়েছিল।

১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে নিউফাউন্ডল্যান্ডের কিং জর্জ ভিক্টোরি পার্ক মাঠে খেলার সময় একটি বল গ্যালারি পেরিয়ে পাশের রেনি নদীতে গিয়ে পরে। ফেরন পেনি নামে একজন দর্শক, ওই সময় থেকে বলটি তুলে নেন। ইতোমধ্যে অন্য একটি বল দিয়ে খেলা শুরু হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বলটি ফেরত দেননি, নিজের কাছে রেখে দেন। শেষ পর্যন্ত ১ম বারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের আনন্দের পাশাপাশি একটি ফিফা বল নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে পেনি বলেন, আমি মাঠ থেকে বের হয়ে নদীতে নামলাম বলটি উদ্ধারের আশায়। পানি ছিল বেশ ঠান্ডা এবং তা বাড়ছিল। আমি প্রায় কোমর পানিতে নেমে বলটি নিয়ে গ্যালারিতে ফিরে আসি। ততক্ষণে খেলা পুনরায় শুরু হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা জয়ী হয়ে মেক্সিকো বিশ্বকাপে স্থান করে নেই। যা এখন পর্যন্ত আমাদের একমাত্র মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা হয়ে আছে।

স¤প্রতি নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনের ক্রীড়া সাংবাদিক ডি মারফির স্মরণে একটি টিভি অনুষ্ঠানে ২৯৮৫ সালের কানাডা-হন্ডুরাস ম্যাচ নিয়ে আলোচনার সময় শিহরিত হয়ে উঠেন ফেরন পেনি। তিনি তার কাছে থাকা বলটি অটোয়ায় কানাডিয়ান সকার হল অব ফেমে দান করার সিদ্ধান্ত নেন। এর বিনিময়ে তাকে বর্তমান জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফসহ ২টি জার্সিও একটি নতুন বল দেয়া হয়।

ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, টোকিও অলিম্পিক ফুটবলে মহিলা দলের স্বর্ণজয়ের মতো ৩৬ বছর আগের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী এই বলটিও ফুটবল দলকে অনুপ্রাণিত করবে। সূত্র : রেডিও কানাডা