Home কানাডা খবর কানাডায় আইসিইউতে রোগী বেড়েছে ২৭ ভাগ

কানাডায় আইসিইউতে রোগী বেড়েছে ২৭ ভাগ

অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় ক্রমবর্ধমানহারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত সাত দিনে দেশটিতে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ২৭ ভাগ। অদৃশ্য এই আতঙ্কের সাথে যোগ হয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট যা ঠেকাতে সরকারকে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কানাডার অন্টারিও তে “স্টে হোম অর্ডার” রীতি মেনে চলতে হচ্ছে এবং কানাডার মন্ট্রিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি সিটিতে লকডাউন চলছে।

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, অন্টারিও, মন্ট্রিল এবং আলবার্টায় নতুন করে ভেরিয়েন্টটি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতবছর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, তবে জরুরি কিছু সার্ভিস চালু রয়েছে।

কানাডার চিফ পাবলিক হেলথ অফিসার ডক্টর থেরেসা ট্যাম কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কানাডা বর্তমানে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ এর চূড়ান্ত অবস্থার দিকে এগুচ্ছে।
তবে, কোভিড-১৯ এর বর্তমান এই বেড়ে যাওয়াকে অনেক প্রদেশের মেডিক্যাল কর্মকর্তারা তৃতীয় ঢেউ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

ডক্টর ট্যাম বলেন, মহামারীর এই বর্তমান বেড়ে যাওয়ার ভয়ঙ্কর দিকটি হচ্ছে, আরও ছোঁয়াচে ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি। এই অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রদেশ ও কেন্দ্র সরকার থেকে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কোন বিকল্প নেই।

ডক্টর ট্যাম উল্লেখ করেন, গত সাত দিনে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ২৭ ভাগ। তিনি আশঙ্কা করছেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তবে এ মাসের শেষে এ সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে, যা মোকাবেলা করা কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মানুষের আক্রান্তের সংখ্যা এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এছাড়াও গত তিন মাসে ইন্টেনসিভ কেয়ারে ১৮ থেকে ৩৯ বছরের আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণে দাঁড়িয়েছে।

প্রদেশগুলোতে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে এবং স্বাস্থ্য সুবিধার স্বল্পতার কারণে হাসপাতালগুলোতে কিছুটা কম গুরুত্বপূর্ণ সব অপারেশন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই সংকটকালীন মহামারীর সময়কে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করার জন্য ডক্টর থেরেসা ট্যাম দেশবাসীর কাছে আহবান জানান।

উল্লেখ্য, কানাডায় গতবছর মার্চ মাসে প্রথম কোভিড শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

কানাডা সরকার দেশটির নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও শক্তিশালী করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া সকল নাগরিকরা যেন দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসে সেদিকেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৭ হাজার ১৫২ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ হাজার ৪৪৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫০৬ জন।

Exit mobile version