অনলাইন ডেস্ক : অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কানাডার স্থল সীমান্তে চলাচল বন্ধের মেয়াদ আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত শুক্রবার ওই সরকারি ঘোষণার পর উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন আইন প্রণেতা ও ব্যবসায়ীরা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার স্থল সীমান্ত। দীর্ঘ দিন গুরুত্বপূর্ণ ওই সীমান্ত বন্ধ থাকায় পর্যটন শিল্পে জড়িত ব্যবসায়ীসহ অনেকেই বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতি কমাতে তারা দ্রæত সীমান্ত উম্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু ট্রুডো প্রশাসন অনঢ়। সরকার বলছে ৭৫% কানাডিয়ানকে ১ ডোজ এবং ২০% ২ ডোজ টিকা না দেয়া পর্যন্ত সরকার কোন ঝুঁকি নেবে না। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ৭৩% কানাডিয়ানকে ১ ডোজ এবং ১৫% কে ২ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, ফুলডোজ টিকা নেয়ার পরও আমরা অনেককে আক্রান্ত হতে দেখেছি। তাই আমরা কোন ঝুঁকি নিতে চাই না। আমরা করোনার আর কোন ঢেউয়ের মোকাবেলা করতে চাই না।
এদিকে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা এলেও বিভিন্ন প্রভিন্সে বিধি-নিষেধ শিথিল ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রথম ধাপ শুরুর প্রস্তুতি চলছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় আলবার্টায় ১ জুলাই থেকে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে ৭০% নাগরিককে টিকা দেয়া হয়েছে। অন্টারিওতে গত ১৮ জুন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ১ম ধাপ শুরু হয়েছে। এর ফলে সেখানে খুচরা ব্যবসায়ীরা ধারণ ক্ষমতার ১৫% ব্যবহার করে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবেন। এছাড়া বার ও রেস্টুরেন্টগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনের খোলা জায়গায় গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবে। তবে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা: লরেন্স লোহ বলেন, কানাডায় সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তি কমে গেলেও ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট খুবই সংক্রমক, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের মাত্র ৩৩% ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম। তাই তিনি সবাইকে যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র : গেøাবাল নিউজ