অনলাইন ডেস্ক : কারাগারে আটক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আলোচনা সভায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানায় এ চিঠি পাঠানো হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতির অগ্রগতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।

আগামী শনিবার নির্বাচন কমিশনে বিকাল ৪টায় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করবেন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগসহ নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদককে সভায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), তৃণমূল বিএনপিসহ ২২ দলের দুজন প্রতিনিধির সঙ্গে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন বিকাল ৩টায় বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাসদসহ বাকি ২২ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো সংলাপের আয়োজন করেনি, আলোচনা সভা করবে। ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা ২ জন মনোনীত প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে ইসি যেসব কার্যক্রম নিয়েছে, তা অবহিত করবে এবং তাদের কোনো পরামর্শ থাকলে সেটা শুনবে।

ইসির আমন্ত্রিত দলগুলোর মধ্যে বিএনপি রয়েছে। দলটির মহাসচিবসহ কয়েকজন জেলে আবার কেউ পলাতক। এই অবস্থায় তারা আলোচনার জন্য সময় চাইলে ইসি কী করবে- এমন প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানা গেছে, আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ জানিয়ে সব দলকে একই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনের মূল অংশীজন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আগামী ৪ নভেম্বর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।