অনলাইন ডেস্ক : কুইবেকের প্রিমিয়ার ফ্রাসোয়া লেগো মঙ্গলবার তার চলতি মেয়াদের ৪র্থ তথা শেষ বাজেট পেশ করেছেন। ৪৭০ পৃষ্ঠার বাজেট ঘোষণাপত্রে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, ভর্তুকিসহায়তাসহ নানা তথ্য ও পরিসংখ্যান রয়েছে। বাজেটের সবচেয়ে বড় চমক হল ৩.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯৪% কুইবেকানকে ৫০০ ডলার করে দেয়া হবে। দরিদ্র বিরোধী গোষ্ঠিগুলো এই অর্থকে ‘অতি নগন্য’ বলে আখ্যায়িত করলেও কারা এই ভর্তুকির জন্য যোগ্য তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন তিনি এই ৫০০ ডলার সহায়তা পাবেন কিনা।

সরকারি হিসাব মতে প্রায় ৬.৪ মিলিয়ন লোক এই ৫০০ ডলার ভাতা বা ভর্তুকি পাবে। প্রথমত যাদের বার্ষিক আয় ১ লাখ ডলার বা তার কম তারা এককালীন বা একমুঠে এই অর্থ পাবেন। যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন এবং তাদের আয় যদি ১ লাখ ডলার বা তার কম হয় তাহলে সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে ৫০০ ডলার জমা হবে। আর যাদের আয় ১ লাখ ডলারের বেশি কিন্তু ১ লাখ ৫ হাজার ডলারের কম তারা বাফার জোনে আছেন, অর্থাৎ তারা পুরো ৫০০ ডলার পাবেন না। আর কারো আয় যদি ১ লাখ ৫ হাজার ডলারের বেশি হয় তাহলে তিনি এই ৫০০ ডলারের সুবিধা পাবেন না। অর্থাৎ তিনি এই অফার গ্রহনের যোগ্য নন।

কোন দম্পতি দু’জনেই যদি ১ লাখ ডলারের কম উপার্জন করেন তাহলে তারা ১ হাজার ডলার পাবেন। অন্যদিকে ৫০০ ডলার পাওয়ার যোগ্য কোন ব্যাক্তি যদি সরকারি কোন তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন তবে এই অর্থ ঋণের সাথে সমন্বয় করা হবে।

ঘোষিত বাজেটে এই বিষয়টি ছাড়াও গ্যাসের দাম, আবাসন আরও অনেক বিষয়ে সহায়তার জন্য তহবিলের কথা বলা হয়েছে। বাড়ি ভাড়ার ভর্তুকির জন্য বাজেটে ৫ বছর মেয়াদী ৬৯ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিলের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সাশ্রয়ী মূল্য আবাসন ইউনিট নির্মাণের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এবারের বাজেটে গ্যাস ট্যাক্সে কোন ছাড় নেই। তবে কেউ যদি সম্পূর্ণভাবে গ্যাসের ব্যবহার বাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে চায় তবে তার জন্য সামান্য ছাড় আছে। আর তাহচ্ছে ৫ হাজার ডলার। আগে এই ছাড় ছিল ৮ হাজার ডলার। ছাড় কমানোর বিষয়ে সরকারের যুক্তি হল বৈদ্যুতিক গাড়ি এখন ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে এবং এটি আগের তুলনায় অনেক সস্তা হয়েছে। বাজেটে পাবলিক ট্রানজিটের জন্য খুব বেশি কিছু নেই। মাসিক পাস ক্রয়ের জন্য এবারও কোন ছাড় নেই। প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকার যৌথভাবে পাবলিক ট্রানজিটের জন্য ৩৯৩ মিলিয়ন বরাদ্দ রেখেছে। এই অর্থ কিভাবে খরচ হবে তার কোন স্পষ্ট রূপরেখা নেই।

স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। করোনা মহামারির মতো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এই অর্থ ব্যবহারে ট্রেজারারি বোর্ডের অনুমোদন লাগবে। আগামী ৩ বছরে কুইবেকে ১৫ টি কোভিড ক্লিনিক নির্মাণে ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া লংটার্ম কেয়ার হোমগুলোতে সেবার মান উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সূত্র : সিবিসি