অনলাইন ডেস্ক : মাউন্টিস নামে পরিচিত রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আর সি এম পি) বলেছে তারা ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কেলোয়ানায় ঐতিহাসিক স্বরণ দিবসের (রিমেম্বারেন্স ডে) অনুষ্ঠান চলাকালে ভ্যাকসিন বিরোধীদের আকস্মিক ও অনির্ধারিত বিক্ষোভ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ঘটনা তদন্ত করছে। এ বিষয়ে কারো কাছে কোন ছবি , অডিও-ভিডিও বা অন্য কোন তথ্য প্রমাণ থাকলে তা তদন্ত কর্মকর্তাদের জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
কেলোয়ানায় ১ম বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্বরণে নির্মিত একটি স্মৃতিস্তম্ভের কাছে গত বৃহস্পতিবার স্মরণ দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। কারোনার পূর্ণ ডোজ টিকা না নিয়ে থাকলে অনুষ্ঠানে না আসার জন্য আগেই বলা ছিল। অনুষ্ঠান শুরুর পর সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিটে অতিথিরা আসন গ্রহণ করার পর পরই করোনার বাধ্যতামূলক টিকা বিরোধী একটি গ্রæপ বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা শুরু করে। ৭৫ থেকে ১০০ জনের ওই গ্রæপের সদস্যরা এ ধরনের কর্মসূচীর কোন পূর্বানুমতি নেয়নি।
আর সি এম পি পরিদর্শক অ্যাডমিরাল ম্যাকিনটোশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, প্রতিটি ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ করার অধিকার আছে। কিন্তু বিক্ষেভের নামে স্মরণ দিবসের মতো একটি পবিত্র ও ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানকে বিঘিœত করতে চাওয়া ‘অনেক বড় অপরাধ’। তিনি আরো বলেন, আর সি এম পি এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করবে। কারা এতে জড়িত এবং এই বিক্ষোভের ইন্ধনদাতা কারা তা খুঁজে বের করা হবে। দোষী প্রত্যেককে সাজার আওতায় আনা হবে।
করোনা মহামারির কারণে এবার স্মরণ দিবসে বড় আকারের অনুষ্ঠান হয়নি। কেলোয়ানায় সিমিত আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। একজন পত্যক্ষদর্শী জানান, যুদ্ধাহত প্রবীণেরা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অনুষ্ঠান শুরু হলে প্রথমে একজন মহিলা হ্যান্ড মাইকে ভ্যাকসিন বিরোধী বক্তব্য দেয়া শুরু করে। এ সময় একজন প্রবীণ ওই মহিলাকে থামার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আজকের দিনটি তোমাদের নয়, এই দিনটি একান্তই আমাদের’। ওই প্রবীণের বক্তব্য শেষ না হতেই বিক্ষোভকারীরা ভ্যাকসিন বিরোধী শ্লোগান দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা শুরু করে। এ সময় প্রবীণ যোদ্ধারা নিজেদের রক্ষার জন্য এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। প্যাট্রিকম্যাকগ্রা নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বিক্ষোভকারিদের আচরণ ছিল মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। স্মরণ দিবসের অনুষ্ঠানে এমন বর্বর আচরণ আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। সূত্র : সিবিসি
