Home কানাডা খবর খেলোয়াড়দের ধর্মঘটে সমর্থন কানাডার নারী ফুটবল দলের কোচ

খেলোয়াড়দের ধর্মঘটে সমর্থন কানাডার নারী ফুটবল দলের কোচ

অনলাইন ডেস্ক : নারী-পুরুষ বেতন বৈষম্য নিয়ে স¤প্রতি কানাডার নারী ফুটবলাররা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য কানাডিয়ান সকার এসোসিয়েশনের (সিএসএ) হুমকির মুখে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে অনুশীলনে যোগ দেয়। খেলোয়াড়দের এই সাহসী মনোভাবের প্রশংসা করে নিজে ‘গর্বিত’ বলে জানিয়েছেন নারী দলের কোচ বেভ প্রিয়েস্টম্যান। একইসাথে আশা প্রকাশ করেছেন দ্রুতই এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির সমাধানে এগিয়ে আসবে সিএসএ। খবর : এএফপির।

চলতি সপ্তাহে শিলিভিস কাপে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কানাডা জাতীয় নারী ফুটবল দল। জুলাইয়ে নারী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক এই টুর্নামেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে চায়নি কানাডার নারী দল। আমন্ত্রমূলক এই টুর্নামেন্টে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কানাডা দল ছাড়াও জাপান ও ব্রাজিল অংশ নিচ্ছে।

বেতনের সমতার দাবীতে কানাডা দল যখন ধর্মঘটের ডাক দেয়া তখন টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। পুরুষদের সাথে বেতনের বৈষম্য আর মেনে নিতে পারছিল না নারী দল। কিন্তু টুর্নামেন্টে অংশ না নিলে বড় অঙ্কের আর্থিক শাস্তির মুখে পড়বে কানাডা, এমন ঘোষণায় নড়েচড়ে বসে সিএসএ।

দলের ইংলিশ কোচ বেভ প্রিয়েস্টম্যান বলেন, অচিরেই এই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং পুরো দল বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে মনোযোগী হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমি একটি কথাই বলতে চাই এই দলটি নিয়ে আমি গর্বিত। আমার সামনে যে খেলোয়াড়রা আছে তাদের কোচ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

আগামী ছয় মাস তারা কেবল নিজেদের জন্যই লড়াই করবে না, পরবর্তী প্রজন্ম যাতে ভাল কিছু পেতে পারে সেই উদ্দেশ্যও তাদের রয়েছে। সবাই যাতে সমান সুযোগ ভোগ করতে পারে। পুরুষরা যেমন সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে নারীরাও যাতে বঞ্চিত না হয়।’
কিন্তু প্রিয়েস্টম্যান বলেছেন, তিনি দ্রুতই বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করতে চান। বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কানাডাকেই ফেবারিট মানা হচ্ছে। প্রিয়েস্টম্যান বলেন, ‘স্বাভাবিক নিয়মে আমি দ্রুত এর সমাধান চাই। আমি জানি সিএসএ’ও সেটাই চায়। আমি জানি খেলোয়াড়রা কি চায়। এই দলের খেলোয়াদের ক্যারিয়ারে সম্ভবত এর চেয়ে বড় সুযোগ আর আসবে না। বিশ্বকাপে মত আসরে খেলাটা তাদের জন্য সত্যিই দারুন সুযোগ। কিন্তু অনুশীলন সেশন বাদ পড়লে, খেলোয়াড়রা যদি আবেগী হয়ে উঠে তবে পরিকল্পনাই নষ্ট হয়ে যাবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নারী দলটি দীর্ঘদিন ধরেই সম বেতনের দাবীতে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সকার নারী-পুরুষ সমান বেতনের ঘোষনা দিয়েছে যা পুরো ফুটবল বিশ্বের আলোড়ন তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোচ আনডোনোভস্কি জানিয়েছেন, কানাডিয়ান নারী দলের পাশে তিনি আছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। আশা করছি সব সমস্যার সমাধান করে কানাডা দলটি নিজেদের পারফরমেন্সে মনোযোগী হবে। আমরাও এই পরিস্থিতি পার করে সব দাবী আদায় করে নিয়েছি। কানাডার মত একটি দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়াটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। এই টুর্নামেন্টে সব কটি দলই বিশ্বমানের।’

জাপান, ব্রাজিল ও কানাডা প্রতিটি দলের খেলার ধরণই ভিন্ন। যে কারনে প্রতিটি প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ভিন্ন কিছু শিক্ষা তারা নিতে পারবে বলে আনডোনোভস্কি আশা প্রকাশ করেছেন। আগামী ২০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ফিফা নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে।

Exit mobile version