অনলাইন ডেস্ক : দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় এ নির্বাচন যুগান্তকারী। নির্বাচন নিয়ে এতো আগ্রহ এরআগে কখনো দেখা যায়নি। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এই বিজয় জনগণের বিজয়। সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার গঠন করা হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, মানুষের অধিকার ভোটাধিকারের মাধ্যমে আরো সুরক্ষিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আটবার নির্বাচন করেছি।‌ এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিলো। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিলো দেশের মানুষ যেনো উন্নত জীবনের অধিকারী হতে পারে। আমরা সরকারে এসে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যারা নারী ধর্ষণ করেছিলো, লুটপাট করেছিলো,অগ্নিসংযোগ করেছিলো, স্বাধীনতার পরপর তাদের বিচার শুরু হয়েছিলো। কিন্তু মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসে বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসায়। যখন আমার মা-বাবার খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়, ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি। আমার আসার একটাই লক্ষ্য ছিলো- বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা; মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা; গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আর্থসমাজিক উন্নতি করা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমার চলার পথটা এত সহজ ছিলো না, অনেকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আমি মুখোমুখি মৃত্যুকে দেখি, কখনও গুলি, কখনও বোমা হামলা, কখনও গাড়িতে হামলা। আমি যখন শান্তি র‌্যালি করছিলাম তখন গ্রেনেড হামলা করা হয়। আমার দলের নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করে মানবঢাল রচনা করে। অনেকে জীবন দেয়। জনগণের কথা বলতে গিয়ে অনেকবার গ্রেপ্তার হয়েছি, বন্দি হয়েছি। তারপরও আমি দমে যাইনি।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডক্টর ইউনুসকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন, এখানে তার করার কিছু নেই বরং তিনি শ্রমিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন।