অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় কোনো ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না। ফলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত তিন হাজার ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান এই পরিস্থিতিকে ‘একটি জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে, গাজায় শিশুরা অনাহারে রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের কাছে গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন যে, ৯২ শতাংশ শিশু এবং গর্ভবতী নারী এখন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছেন।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছেন। যার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক।
এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিনজুড়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া শুক্রবার ভোরেও ভূখণ্ডটির একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে ৬ জন প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে যে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় কোনো ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না।
গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত ৩ হাজার ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
গাজায় আল জাজিরার সংবাদদাতা ইসরায়েলের ৬০ দিনের অবরোধকে বেসামরিক জনগণকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে শ্বাসরোধ’ করা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ হাজার ৪১৮ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ৭৭ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।