অনলাইন ডেস্ক : গাজায় অনাহারে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, ফলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে অনাহারে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ২০ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা জানান, এই ২০ জন ছাড়াও বহু লোক হাসপাতালে আসার আগেই অনাহারে মারা যাচ্ছে। গাজায় পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষ এড়াতে আরো বেশি উদ্যোগী হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাউথ আফ্রিকা। এছাড়া দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বানও জানান তারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে আল-শিফা হাসপাতালে ১৫ বছর বয়সী এক শিশু এবং উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ৭২ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনের কাছে হার মেনে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ২০ জন।

আল-কুদরা জোর দিয়ে বলেন, ঘোষিত এই মৃত্যুর সংখ্যা শুধুমাত্র হাসপাতালে যারা পৌঁছেছেন বা হাসপাতালে যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যুকেই সামনে আনছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আরও বহু লোক হাসপাতালে না পৌঁছানোর ফলে অনাহারে নীরবেই মারা যাচ্ছেন।

আশরাফ আল-কুদরা বিবৃতিতে আরো বলেছেন, ‘উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য।’ অন্যদিকে হাজার হাজার মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলেও আল-কুদরা সতর্ক করে দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র ‘ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর গাজার হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালানোর’ জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি ‘উত্তর গাজায় মানবিক ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধ করতে’ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছেন।

জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক পলা গাভিরিয়া বেটানকুর বলেছেন, গাজার মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় নিহত এবং আহত হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৭৫ শতাংশেরও বেশি, যা বিস্ময়কর। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিপীড়িতদের মানবতা মনে রাখার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, সামরিক অভিযানে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলবে বিশ্বকে এমন ‘কল্পকাহিনী’ ওপর বিশ্বাস পরিত্যাগ করতে হবে।

সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা