মুন্নি আহমেদ : খুব ইচ্ছে করে চাঁদের বুকে একটি বাড়ি বানাতে। কেমন হতো যদি সেখানে একটি তারা ফুল গাছ বোনা যেত। চারিদিকে তারার ফুলের জ্বলজ্বল আলোয় আলোকিত থাকবে চাঁদের বুক। ঘুরে বেড়াবে ময়ুর পঙ্খীরা সারাটা বাগানময়। জোনাকীরা বিন্দু বিন্দু আলো ফুটিয়ে উড়বে চারিধারে। কিন্তু ইচ্ছে তো ইচ্ছেতেই বন্দী হয়ে থাকে। কিছু ইচ্ছে আছে যা পূরণ কখনোই সম্ভব নয়। যেমন কখনো ইচ্ছে হয় পাখি হয়ে দেশ থেকে দেশ ঘুরে বেড়াই। কিন্তু তাও তো আর সম্ভব হবার নয়! মন তো অদ্ভুত এক ইচ্ছে-ঘুড়ি, যেখানে আমি উড়িয়ে দিব মনের সব না পাওয়া সুখ টুকরোগুলো। বলা যায় না কিছু তো, কোন এক মুহূর্তে পেয়েও যেতে পারি আমার সমস্ত ইচ্ছে-চাওয়া পাওয়াদের!

চাঁদে আমি বাড়ি বানাবো
সেই বাড়িতে তুমি রবে আমি রব
আহা, আমার চাঁদের বাড়ি!
সেথায় থাকবে অগণিত ময়ুরপঙ্খী
নাঁচবে হেথায় ঝুটি রাঙিয়ে।
চাঁদের বুকের পদ্ম পুকুর
সেথায় সোনা বাধানো ডিঙি আমার,
এতোটুকু পদ ধুলি দিবে কি প্রিয়তমেষু।
তোমার পদ ধুলিতে হবো ধন্য
তবু, তবুও তুমি আসবে বলো
অপলক চোখে চারিদিকের
তারার ফুলেরা দেখবে তোমায়।
তুমি তো অনন্য
স্বজ্জিত হবে মোর চাঁদের ঘর এক স্বপ্নপূরী অপূর্ব।
ঘরটি সাজাবো না হয় তারার ফুল দিয়ে
আলোয় তোলা ফুলকি কাজে
দূর্বার ভালোবাসা গায়ে মেখে;
প্রেমের ঘুড়ি উড়িয়ে দিও
হাত ধরে হাতে, চোখে রেখে চোখ
ভাসিয়ে দিব ভালোবাসায়।
আছে যত কথা, আছে যত গান
শিহরিত টুকরো টুকরো সময়
সে যে কি রোমাঞ্চকর আর ভালোবাসাময়।
যায় যত দিন যত রাত
স্পর্শে-চুম্বনে-চিরসুখের হাতছানিতে
হারিয়ে যাব তোমায় নিয়ে।
চাঁদের বাড়ি আমায় সুধায়
একি জীবন্ত আদ্যপান্ত রুপবান,
আলোকিত হবে আজ
এই চাঁদের স্বপ্নপূরী আমার!