Home আন্তর্জাতিক চীনের সমুদ্র আইন লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সমুদ্র আইন লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সামরিক সম্প্রসারণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন। সম্প্রতি তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক আয়োজনে জানিয়েছেন চীনের এ ধরনের কার্যক্রম সমুদ্রনীতি লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন নিজেদের সমুদ্র সম্পদ বেআইনিভাবে সম্প্রসারণ করে দেশটি অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখিয়ে চলছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ‘সমুদ্র নিরাপত্তা বৃদ্ধি-একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ইস্যু’ শিরোনামে শীর্ষপর্যায়ের এক উন্মুক্ত বিতর্কে আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিøনকেন জানান, সমুদ্র নিরাপত্তা খুবই বিপদজনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে।

ব্লিনকেন আরও জানান, ‘নৌ চলাচল, অতিরিক্ত উড়ানোর স্বাধীনতা এবং বৈধ সামুদ্রিক বাণিজ্যের নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ সব দেশের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এমন কিছু অঞ্চলের কথা বলবো যেখানে সমুদ্র আইন ও নীতিমালাগুলো হুমকির মধ্যে রয়েছে। আমরা দেখেছি চীন সাগরে জাহাজগুলো বিপদজনকভাবে মুখোমুখি হচ্ছে এবং বেআইনি সমুদ্রদাবিকে এগিয়ে নিতে উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’ সমুদ্র অপরাধ এবং নিরাপত্তাহীনতার মতো পরিস্থিতিগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

সমুদ্র আইনগুলো পুনর্বিবেচনা ও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে সব দেশকে একত্রিত করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন।

উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদিই দেশটির প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী যিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্ক আয়োজনের নেতৃত্ব দিলেন। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সংগঠনসমূহের প্রধানরা এতে অংশ নেন।

ব্লিনকেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরার অন্যতম কারণ এখানে বেইজিংয়ের সামরিকীকরণ বন্ধে ওয়াশিংটনের পদক্ষেপে সমর্থন দিতে ইউরোপের শীর্ষ দেশগুলো এখানে নৌশক্তি পাঠাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গোটা দক্ষিণ চীন সাগরেই নিজেদের মালিকানা দাবি করছে চীন। শুধু তাই নয় ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং তাইওয়ানের আঞ্চলিক দাবিগুলোও এড়িয়ে যাচ্ছে চীন। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের এই আঞ্চলিক দাবি এবং ভারত মহাসাগরের দিকে দেশটির অগ্রসর হওয়ার কার্যক্রমগুলো প্রতিষ্ঠিত নীতিমালাভিত্তিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সম্প্রতি চীনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে পাঁচদিন ব্যাপি সামরিক মহড়া শুরু করবে।

সূত্র: এএনআই

Exit mobile version