অনলাইন ডেস্ক : চীনে বসবাসকারী সংখ্যালঘু তিব্বতিদের সঙ্গে দেশটির আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ পুরোনো হলেও সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনস্থ ‘অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,‘আমরা দেখতে পেয়েছি- চীনা প্রশাসন সরাসরি সংখ্যালঘু তিব্বতিদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস, তাদের প্রার্থনার চাকা ও পতাকা নষ্ট করা এবং উপাসনালয় পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে তিব্বতের জনপ্রিয় একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর মৃত্যুর পর অঞ্চলটির ‘বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস’ থেকে তার নাম মুছে দেয় চীনা প্রশাসন। সেইসঙ্গে তার প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেইজিং।

তুলকু তেনজিং দেলেক নামের ওই সন্যাসী সিচুয়ান কারাগারে রহস্যজনকভাবে মারা যান। তার মৃত্যুর পর এ নিয়ে আলোচনা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেইজিং। বেইজিংয়ের এমন কর্মকাণ্ডে সংখ্যালঘুদের ওপর দেশটির সংঘবদ্ধ নির্যাতনের চিত্র আরও একবার ফুটে ওঠে।

উল্লেখ্য, ১৯৫১ সাল থেকে চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বত এবং পশ্চিম চীনের তিব্বত অঞ্চলের উপর কঠোর দখলদারত্ব বজায় রেখেছে। শুধু তাই নয়, তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের শান্তিপূর্ণ প্রকাশকে সীমিত করতে বাধ্য করা হয়েছে৷

সেইসঙ্গে নিপীড়ন, নির্যাতন, কারাদণ্ড এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হচ্ছে অঞ্চলটির মুক্তিকামী মানুষদের। তবে জোরপূর্বক তিব্বত দখল করে নিলেও এই দখলকে বৈধতা দিতে একে অঞ্চলটির জন্য ‘শান্তিপূর্ণ মুক্তি’ বলে অভিহিত করে বেইজিং। এ ছাড়া তিব্বতের বর্তমান দালাই লামা যিনি ভারতে নির্বাসিত, তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে বেইজিং।