অনলাইন ডেস্ক : চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা হয়েছে, এমন কথা মানতে নারাজ সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও ওয়াহিদার ঘরে হামলাটি ছিল পরিকল্পিত।

সারা দেশে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগের দাবিও তুলেছেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো মহল ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিচ্ছিন্ন ও চুরির ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, এটি কোনো চুরির ঘটনা নয়। কারণ দুর্বৃত্তরা কোনো প্রকার জিনিস চুরি করেননি বা খোয়া যায়নি। এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনা এবং এর সঙ্গে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।’

ওয়াহিদাকে ‘সৎ ও নির্ভীক কর্মকর্তা’ অভিহিত করে সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, ‘বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল বেআইনি তদবিরে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’

গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালানো হয়। হাতুড়ির মতো বস্তর আঘাতে গুরুতর জখম ওয়াহিদা এখন ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।

যুবলীগের স্থানীয় এক নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার র‌্যাব জানায়, চুরির উদ্দেশ্যে ওয়াহিদা বাড়িতে ঢুকে ওই হামলায় আসাদুল হক নামে একজন, তার সহযোগী ছিলেন নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার বিশ্বাস নামে বাকি দুজন।