অনলাইন ডেস্ক : প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানের ১৩ লাখ টন তেজস্ক্রিয় মিশ্রিত পানি ছাড়াকে দক্ষিণ কোরিয়া ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে এটিকে আন্তির্জাতিক মান অনুযায়ী করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে সিউল। খবর আল জাজিরা।

রাফায়েল গ্রোসি ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখেছেন। তার পেছনেই ছিল ফুকুশিমার ধ্বংসাবশেষ। এর পাশ দিয়ে তিনি যখন হেঁটে যাচ্ছিলেন তখন তার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কর্মকর্তারাও ছিল।

গত মে মাসে জাপানের ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করে। তারা নিজেরা এটি নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর জাতিসংঘের নিউক্লিয়াস ওয়াচডগ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর সঙ্গে একমত হয়ে ১৩ লাখ টন তেজস্ক্রিয় মিশ্রিত পানি সমুদ্রে ফেলার অনুমতি দেয়।

জাপান সরকারের পলিসি সমন্বয়ক বাং মুন কিউ শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সমুদ্রের পানিতে এটা বিক্রিয়া ঘটাবে না, আমরা এটা নিশ্চিত করেছি। এছাড়া তেজস্ক্রিয় মিশ্রিত পানি সমুদ্রে ফেলার জন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে।

সমুদ্রে জাপান তেজস্ক্রিয় পানির ফেলার কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও এসব অঞ্চলের অনেক দেশ পারমাণবিক নিয়ে কাজ করছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই আগামী মাস থেকে জাপান এসব পানি সাগরে ফেলতে শুরু করবে বলে জাপানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

তবে চীনে জাপানের এমন সিদ্ধান্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পর্যালোচনার বিষয় সম্পর্কে তারা বিরূপ মন্তব্য করেছে।

এদিকে চীনের কাস্টম বিভাগ জাপান থেকে ১০ ধরনের সামুদ্রিক খাদ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কারণ এসব খাবারে তেজস্ক্রিয়া থাকতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়াও ফুকুশিমার আশেপাশের সামুদ্রিক খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, যার অর্থের পরিমাণ শুনলে অবাক হবেন
এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে চিন্তায় পড়েছে জাপান। শুধু তাই নয় দেশগুলোর এমন নিষেধাজ্ঞার ফলে জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যেও এর প্রভাব পড়বে।

চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধস। ২০১১ সালের মার্চে সুনামির আঘাতে এতে ধসের ঘটনা ঘটে।