অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্যারিসে আলোচনায় বসেন মিসর, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধানরা। এছাড়া এতে উপস্থিত ছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রীও। সেখানে তারা জিম্মি চুক্তির একটি কাঠামো তৈরি করেন।

যা পরবর্তীতে হামাসের কাছে দেওয়া হয়। এ নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিসরে গেছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো চুক্তির যে কাঠামো তৈরি করেছে; সেটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করবে না হামাস। কিন্তু তারা শর্ত দেবে যে— চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

ফিলিস্তিনি এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিটি কয়েকটি ধাপে হবে। প্রথম ধাপে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি থাকবে। এই সময়ে ইসরায়েল সব ধরনের হামলা বন্ধ রাখবে এবং হামাস বেসামরিক জিম্মিদের মুক্তি দেবে। পরবর্তী ধাপে নারী সেনাদের মুক্তি দেওয়া হবে। আর শেষ ধাপে পুরুষ সেনা এবং নিহত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর হামাস।

এ ব্যাপারে এ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি হামাস চুক্তিপত্র প্রত্যাখ্যান করবে না। কিন্তু তারা এতে রাজিও হবে না। এর বদলে আমি ধারণা করছি, হামাস তাদের শর্তগুলো পুনর্ব্যক্ত করবে। যাতে বলা হবে, ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।’

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল