বাংলাদেশের জন্মের পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে গত ২৬শে মার্চ, শুক্রবার টরন্টো ফিল্ম ফোরাম বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও স্বাধীনতাকামী মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ৩০০০ ড্যানফোর্থে পতাকা ও ব্যানার নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সব ত্যাগী মানুষদের শ্রদ্ধা জানাতে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এবং টরন্টো ফিল্ম ফোরামের কয়েকজন সদস্য পনের মিনিট অবস্থান। তারপর রাত আটটায় টরন্টো ফিল্ম ফোরামের অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে জুম এর মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করে। জুম এর মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্ক্যারবরো-সাউথওয়েস্ট এর এমপিপি ডলি বেগম, বিচেস-ইস্ট ইউর্কের কাউন্সিলার ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড এবং টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সভাপতি এনায়েত করিম বাবুল। উভয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরকে উদযাপিত করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র মাহেন্দ্রক্ষণে স্বাধীনতার আলো আনা সব ত্যাগী আলোকিত প্রাণদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর জন্য টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সদস্যরা ‘আমার ৫০’ এবং ‘আমাদের ৫০’ নামে দুটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করে ফেব্রæয়ারি মাসে। ‘আমার ৫০’ প্রামাণ্যচিত্রে টরন্টো, মারখাম, মিশিশুয়াগা এবং ব্রামটনে বসবাসরত পাঁচ জন সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ-অভিজ্ঞতা চিত্রিত হয়েছে। তাঁদের কথায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক ধারাবাহিকতা উঠে এসেছে যা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। ২৬শে মার্চের রাত সাড়ে আটটায় মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে টরন্টো ফিল্ম ফোরামের কার্যালয়ে ‘আমার ৫০’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী হয়।

টরন্টো ফিল্ম ফোরামের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনে টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সদস্যরা প্রত্যয় ব্যক্ত করে, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করা ও নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা।