Home অর্থনীতি টানা শাটডাউনে বিপাকে মার্কিন অর্থনীতি

টানা শাটডাউনে বিপাকে মার্কিন অর্থনীতি

অনলাইন ডেস্ক : টানা শাটডাউনে মার্কিন অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেশের অর্থনীতিতে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতির কারণ হতে পারে।

সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি জনসেবা কমানো ও ব্যাপক ছাটাইয়ের মতো গুরুতর হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি, ডেমোক্র্যাটরা আরও শান্ত হবে এবং খুব শিগগিরই তাদের ভোট পাব। শুনেছি, তারা এবার সেই পথে এগুচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক কেভিন হাসেট সিএনবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন শাটডাউন ‘এই সপ্তাহের মধ্যে’ শেষ হবে।

যদি এটি দীর্ঘায়িত হয়, তবে, ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যাতে তারা আলোচনায় আসতে বাধ্য হয়।

ডেমোক্র্যাটরা মূলত স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা নবায়ন করার শর্তে শাটডাউন বন্ধের পক্ষে। এতে ২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিনিদের মেয়াদোত্তীর্ণ স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা পুণরায় নিশ্চিত হবে।

সিনেটের রিপাবলিকানরা সহায়তার মেয়াদ বাড়ানোর ওপর ভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে অনেক ডেমোক্র্যাট বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং হাউস স্পিকার মাইক জনসনের অনুমোদন না থাকে, তাহলে কোনও চুক্তিই কার্যকর হবে না।

সোমবার হাউসে শাটডাউন বন্ধে গৃহীত প্রস্তাবের ওপর সেনেট ভোট একাদশবারের মত ব্যর্থ হয়েছে। হাউস স্পিকার মাইক জনসন জানিয়েছেন, শাটডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাউস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এনএনএসএ কর্মীদের ছুটির বিষয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সরকারি অচলাবস্থার প্রতিটি দিন আমেরিকান জনগণের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।

এ দিকে, ডেমোক্র্যাট নীতিনির্ধারকরা আশাবাদী, এখনই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ২০২৬ সালে স্বাস্থ্যবীমার খরচ বৃদ্ধি এবং সুবিধা কমে যাওয়ার দায় রিপাবলিকানদের ওপর পড়বে।

জর্জিয়া, ভার্জিনিয়া এবং মেরিল্যান্ডের মত অঙ্গরাজ্যের নাগরিকদের স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়াম মাসে দুই হাজার ডলারেরও বেশি বেড়ে যাবে। হাউসের মাইনরিটি লিডার হাকীম জেফ্রিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের বাড়তি খরচ কেউই বহন করতে পারবে না।’

ফেডারেল কর্মচারীরা, সাধারণত প্রতি দুই সপ্তাহে বেতন পান। কিন্তু আগামী বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সেই বেতনও তারা পাবেন না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

সেনাদের বেতনও একটি বড় সমস্যা হয়ে আইনপ্রণেতাদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।

সিনেটে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে এমন একটি বিল বিবেচনা করার কথা রয়েছে, যা সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং অন্যান্য ফেডারেল কর্মীদের বেতন পাওয়ার সুযোগ করে দেবে, যদিও এই উদ্যোগে ডেমোক্র্যাটদের থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন পাওয়া যাবে কি না তা স্পষ্ট নয়।

Exit mobile version