অনলাইন ডেস্ক : স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার একটি নতুন প্রতিবেদন এই ধারণার উপর সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে যে কানাডা ব্যাপক শ্রমের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। বরং বর্তমানের কর্মসংস্থানে বিদ্যমান শূন্য পদ শ্রমিক সংকটের কারণে নয় বলে কিছু শ্রম অর্থনীতিবিদ যে যুক্তি দেখিয়েছেন, তাকে আরও শক্ত করেছে সংস্থাটির নতুন এই প্রতিবেদন।

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যেসব চাকরিতে উচ্চতর শিক্ষার প্রয়োজন সেখানে কোনো শ্রমিক সংকট নেই। দক্ষতা ও বেতনের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা এর কারণ হতে পারে। এ কারণেই এতো বেশি সংখ্যক পদ খালি পড়ে আছে।

কোভিড-১৯ মহামারির পর শ্রমিক সংকটের বিষয়টি খবরের শিরোনাম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সে সময় কর্মী চেয়ে অনেক বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। গত বছরের কোনো এক সময় ১০ লাখের বেশি কর্ম খালি ছিল। শ্রমিক সংকটের এই ধারণা সরকারের ওপর চাপ তৈরি করে এবং কানাডার অভিবাসন লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে বাধ্য হয় সরকার।

কিন্তু স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা তাদের নতুন প্রতিবেদনে শিক্ষার নিরিখে নিয়োগ ও কর্মখালির মধ্যে তুলনা করেছে। তাতে শ্রমবাজারের বিস্তারিত চিত্র উঠে এসেছে। সংস্থাটির সোস্যাল অ্যানালিসিস ও মডেলিং বিভাগের সহকারী পরিচালক রেনে মরিসেটে বলেন, যেসব কর্ম খালি রয়েছে সেখানে যে উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন ও যেগুলোতে হাইস্কুল ডিপ্লোমা বা তার চেয়ে কম শিক্ষার প্রয়োজন সেদিকে তাকালে চিত্রটা একেবারে আলাদা দেখতে পাবেন।

২০১৬ ও ২০২২ সালের শ্রম উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব চাকরিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি বা উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন সেখানে চাকরির পরিমান যোগ্য লোকের তুলনায় অনেক কম। উদাহরণ হিসেবে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ব্যাচেলর ডিগ্রি বা উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন এমন পদ খালি ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার।

কিন্তু একই সময়ে এসব চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা বেকার লোক ছিল ২ লাখ ২৭ হাজার। কিন্তু যেসব চাকরিতে হাইস্কুল ডিপ্লোমা তার চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন যেসব পদ খালি হতে শুরু করে ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে। মরিসেটে বলেন, এর অর্থ এই নয় যে, কিছু বাজারে শ্রমিক সংকট নেই। কিন্তু সংকট আগে যেমন তীব্র ভাবা হয়েছিল ততটা তীব্র নয়। অবশ্যই কিছু পদে স্থানীয় স্বল্পতা রয়েছে। আমরা যেটা বলতে চাইছি তা হলো প্রাথমিকভাবে যেমনটা বলা হয়েছিল সংকট ততটা ব্যাপক নয়। সূত্র : ন্যাশনাল পোস্ট