অনলাইন ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নকল মাস্ক সরবরাহ করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে। আজ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার আনোয়ার পাশা ভবনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম। শারমিন ঢাবি প্রশাসন-১ এর সহকারি রেজিস্টার। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। এছাড়া ২০০২ সালে তিনি ঢাবির কুয়েত মৈত্রি হল ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় শারমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল কোর্টে তোলা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের করোনা ইউনিটের চিকিৎসকদের জন্য সরবরাহ করা এন ৯৫ মাস্কের আড়ালে নকল মাস্ক সরবরাহ করায় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় শারমিন জাহানকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিএসএমএমইউ’তে গত ২৭ মে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নমুনা মাস্ক যাচাই বাচাই করে গত ২৭ জুন একটি কার্যাদেশের মাধ্যমে ১১ হাজার এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে বলা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি গত ৩০ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত চারটি লটের মাধ্যমে যথাক্রমে তিন হাজার ৪৬০ পিস ফেস মাস্ক সরবরাহ করে। প্রথম দুই লটের মাস্কে কোনো সমস্যা না থাকলেও তৃতীয় ও চতুর্থ লটের মাস্ক বিতরণ ও ব্যবহারে ত্রুটি পাওয়া যায়। এসব মাস্কের গুণগতমান স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো ফেস মাস্কের বন্ধনী ফিতা ছিড়ে গেছে। কোনো কোনো ফেস মাস্কের ছাপানো লেখায় ত্রুটিপূর্ণ ইংরেজি লেখা পাওয়া গেছে। আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রায় ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক নিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে গত ১৮ জুলাই বিএসএমএমইউএ নকল মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল’কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নোটিশের জবাবে শারমিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।