বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের জনপ্রিয় তারকা ও প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাটের কন্যা পূজা ভাট। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় গণমাধ্যমে নারী হিসেবে নিজের জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম মিড ডে’তে ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে। পূজা জানিয়েছেন, মেয়ে শিশু হিসেবে বাবা-মার কাছ থেকে কখনই কোনো কাজে তিনি বাধা পাননি। মেয়ে বলে বাবা-মাও তার সঙ্গে আলাদা কোনো আচরণ করেননি। তবে নারী হিসেবে তিনি প্রথম সমস্যা অনুভব করেছে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের পর।

পূজা বলেন, যখন আমি সিনেমা জগতে ঢুকলাম এবং তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলাম তখনই আমি প্রথমবারের মতো নারী হিসেবে বৈষম্যের শিকার হলাম।

পূজার ভাষায়, চলচ্চিত্র জগতের মানুষেরা নারীকে সবসময় একটা নির্দিষ্ট ধারায় কাজ করতে দেখতে পছন্দ করে, যা তার ভালো লাগেনি।

গুণী এই অভিনেত্রী বলেন, হিন্দি চলচ্চিত্রের নায়িকাদের একটা ধারা তৈরি হয়েছিল। আমাকেও একই পথ অনুসরণ করতে বলা হতো। আমার মনে হতো, কেন এটাই করতে হবে।

পূজা আরও বলেন, এটা নিয়ে আমার ও মিডিয়ায় একটা অংশের মধ্যে মতবিরোধ হয়। যদিও বেশিরভাগ লোকই আমার পক্ষে ছিল।

তিনি বলেন, আমি যখন ভালো কাজ করেছি তখন প্রশংসিত হয়েছি। কিন্তু নারী হওয়ার কারণে প্রাপ্য শ্রদ্ধা, এমনকি পারিশ্রমিক পাইনি।

পূজা জানান, তিনি যখন চলচ্চিত্র প্রযোজনা শুরু করেছিলেন, তখন অনেকেই সেটা ভালোভাবে নেয়নি। তার ভাষায়, অনেকের ভাবটা এমন ছিল, এখনও তুমি যথেষ্ট তরুণ। তুমি বরং অভিনয় করো। প্রযোজনার কাজটা ছেলেদের করতে দাও।

তবে, পূজা জানান, তিনি যখন প্রযোজক হয়েছেন তখন পুরুষ ও নারী অভিনেতাদের মধ্যে যাতে কোনো বৈষম্য না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন।

এই অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক বলেন, আমি ১০টি চলচ্চিত্র তৈরি করেছি । আমার সব ছবিতে অভিনেত্রীদের অভিনেতাদের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। অভিনেতারা অবশ্য এ নিয়ে অনেক অভিযোগও করেছেন।

পূজা বলেন, যেসব ছবিতে নারীর চরিত্রটি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সেখানে তাকেই বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, যে কাজে বেশি সময় দিচ্ছেন এবং যাকে ঘিরে ছবিটি আবর্তিত হচ্ছে তাকে আলাদা গুরুত্ব দিতেই হবে।

শিগগিরই পূজাকে দেখা যাবে নারীকেন্দ্রিক ওয়েব সিরিজ ‘বোম্বাই বেগমস’ এ। আধুনিক মুম্বাইয়ের পাঁচজন উচ্চাভিলাষী নারীর আশা-নিরাশার কাহিনি নিয়ে এ সিরিজটি নির্মিত হয়েছে।