কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২০ এপ্রিল, শনিবার, রাজশাহী নগরের পদ্মা পাড়ে পিঁপড়া আপ্যায়ন ও কনভেনশন সেন্টারে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ডিরেক্টর্স এন্ড এক্টর্স গিল্ড রাজশাহীর প্রথম মিটআপ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ডেলিগেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর ফিল্ম নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়। প্রথম অংশে পরিচয় পর্ব ও সংগঠনের সদস্যদের মাঝে পরিচয়পত্র এবং টি শার্ট প্রদান করা হয়। এরপর আলোচনাসভা শুরু হয়, আলোচনার শুরুতেই এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন ডিরেক্টর এন্ড এক্টর গিল্ডের জয়েন সেক্রেটারি এ এইচ রাজীব।

রাজশাহীতে ওয়েব সিরিজ বানিয়ে ওটিটি প্লাটফর্মে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন শর্টিকাপ এর পরিচালক তাওকির শাইক। এরপর আলোচনা করেন রাজশাহী টিভি জার্নালিজম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি রাজশাহী চলচ্চিত্রের পাশে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা নিয়ে কথা বলেন। এরপরে চলচ্চিত্রের আন্দোলন ও ফিল্ম সোসাইটি নিয়ে আলোচনা করেন রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মনিস রফিক রাজশাহীর চলচ্চিত্র দেশ থেকে দেশের বাইরে যাচ্ছে এর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।

উপস্থিত অতিথিদের সাথে ডিরেক্টর্স এন্ড এক্টর্স গিল্ড এর কর্মকর্তাবৃন্দ

রাজশাহীর চলচ্চিত্রগুলোর কোন বিষয়গুলো ডেভেলপমেন্ট করলে রাজশাহী চলচ্চিত্রের আরো মান উন্নত হবে এ নিয়ে কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ড. সাজ্জাদ বকুল। ফিল্ম নিয়ে গবেষণা ভিত্তিক কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মামুন হায়দার।

ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি প্রতি বছর ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করে তা আরও কিভাবে ভালো করা সম্ভব এ নিয়ে কথা বলেন ডা.এফ এম এ জাহিদ। রাজশাহীতে চলচ্চিত্র কেন্দ্র চাই এই দাবিতে কথা রাখেন এই সংগঠনের সেক্রেটারি শাহারিয়ার চয়ন। অনুষ্ঠানের সভাপতি ওলিউর রহমান বাবুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিস রফিক

অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে কেক কাটেন প্রধান অতিথি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও ফোকলোরে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক ও গবেষক প্রফেসর ড. আবদুল খালেক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন আমি একজন শিক্ষাবিদ হলেও সাংস্কৃতির দিকে বেশ দুর্বল তাই আমি এই সংগঠনের পাশে আছি এবং থাকবো। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এতে পারফর্ম করেন রিমঝিম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী এছাড়াও পারফর্ম করেন রাজশাহীর জনপ্রিয় ব্যান্ড অন্বেষার।অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক হিসেবে ছিল সাইমুম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ডিনারের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।