অনলাইন ডেস্ক : নোভা স্কশিয়ার প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৫৫%। অর্থাত নির্বাচনে যোগ্য ভোটারদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, বাকি প্রায় অর্ধেক ভোটার ভোট দানে বিরত থেকেছেন। এবারের ভোটদানের এই হার ২০১৭ সালের হারের চেয়ে সামান্য বেশি। ওই বছর সেখানকার প্রাদেশিক নির্বাচনে সবচেয়ে কম ৫৩.৪% ভোট পড়েছিল। অন্যদিকে নোভা স্কশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৮০% ভোটার ভোট দিয়েছিলেন ১৯৬০ সালের নির্বাচনে। এছাড়া ২০১৯ সালের ফেডারেল ইলেকশনে এই প্রদেশে ভোট দানের হার ছিল ৬৯.৪%।

নির্বাচনী এজেন্সিগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী নোভা স্কশিয়ার এবারের প্রাদেশিক নির্বাচনে তুলনামূলক বেশি ভোট পড়েছে রিচমন্ড (৭১.৪৩%), ক্লেয়ার (৬৭.৮৪%), অ্যারগেইল (৬৭.৪৫%), গুইছবার্গ ট্রেকাডাই (৬৬.৮১%) ও চেস্টার সেন্ট মার্গারেট (৬২.৪৬%) এলাকায়। অন্যদিকে কম ভোটার উপস্থিতির এলাকাগুলো হচ্ছে কোল হারবার (৩৭.৯৯%), ডার্টমাউথ নর্থ (৪৬.১৩%), বেডফোর্ড সাউথ (৪৬.২০%), হেলিফেক্স আটলান্টিক (৪৭.২৮%) ও প্রিস্টন (৪৭.৫৮%)।

নির্বাচনে প্রগ্রেসিভ কনজারবেটিভ দলের প্রার্থীরা ৩৮.৬২% ভোট পেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। অন্যদিকে দ্বিতীয়স্থানে থাকা লিবারেলরা পেয়েছে ৩৬.৭২% ভোট।
ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির সমাজকবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও স্কুল অব দ্য পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক লরি টার্নবুল কম ভোটার উপস্থিতির কারণ সম্পর্কে বলেন, করোনা মহামারির কারণে প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচারণা চালাতে পারেনি। এছাড়া সংক্রমণের ভয়েও অনেক ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসেনি। তাই ভোটার উপস্থিতি আশানুরোপ হয়নি। অন্যদিকে নোভা স্কশিয়াই কানাডার একমাত্র প্রভিন্স যেখানে কোন নিদ্রিষ্ট দিনে ভোট গ্রহণ করা হয় না। ভোটারেরা আগে থেকেই ভোট গ্রহনের সময় সম্পর্কে জানতে পারলে তারা এক ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা না হওয়ায় কিছু ভোট কম পড়েছে। সূত্র : রেডিও কানাডা