বাংলা কাগজ ডেস্ক: গত ১৫ই আগষ্ট শনিবার বিকেল ৯ ঘটিকার সময় কানাডার টরোন্টোস্থ ৩০৯৮ ডেনফোর্থে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করলো “বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কানাডা”। এই উপলক্ষে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

সামাজিক দূরত্ব ও স্থানীয় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডক্টর হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি মনিরুল ইসলামের সভা পরিচালনায় অন্যানদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ফাউন্ডেশনের কোষাধক্ষ্য শামীম আহসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কাজী বাসিত, সদস্য মুনিরা সুলতানা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশ আর বাঙালির জীবনে এক মর্মস্পর্শি ও হৃদয়বিদারক দিন আজ ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের আজকের কালো রাতে সাম্রাজ্যবাদ ও দেশীয় প্রতিক্রিয়াশীলদের চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধুকে জীবন দিতে হয় । তাদের নির্মম বুলেটে সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে নিহত হন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।শুধু বঙ্গবন্ধু নন, বিসর্জন দিতে হয় বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও তাঁর কতিপয় আত্মীয়-সহকর্মীদের। সকল স্বাধীনতাকামী আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা মানুষের জন্য এ তারিখটা শোকের-বেদনার। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর সেই প্রিয় বাড়িটি যেন রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। যেন গুলির শব্দ আর কামানের গর্জনে কেঁপে ওঠে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।”

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কানাডায় বসবাসকারী নূর হুসেনকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান বক্তারা। বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বক্তারা আলোকপাত করেন।