Home কানাডা খবর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে কানাডার ভালোবাসা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে কানাডার ভালোবাসা

শওগাত আলী সাগর: শহর টরন্টোর মাথা ভেদ করে ঋজু ভঙ্গিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বখ্যাত সি এন টাওয়ার সেজেছিলো লাল আর সবুজের রঙে। ছাপ্পান্ন হাজার পাঁচ শতাধিক বর্গমাইলের সবুজ বিস্তৃর্ণ বাংলাদেশের বুকে উদিত হওয়া স্বাধীনতার লাল সূর্যের রঙকে বুকে ধারণ করে কি অহংকারী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়েছিলো সি এন টাওয়ার।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে এই ছিলো তার অংশীদার হওয়া। সুউচ্চ সিএন টাওয়ার থেকে লাল-সবুজ আলোর বিচ্ছুরণ যেনো বার বার কানাডীয়ানদের বলছিলো- শোনো, আমি হচ্ছি বাংলাদেশ।

টরন্টোর সিটি হলে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছিলেন সিটি মেয়র জন টরি। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয়ান প্রথম জনপ্রতিনিধি প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের এমপিপি ডলি বেগম আর বাঙালি অধ্যুষিত বিচেস-ইষ্ট ইয়র্ক এলাকার সিটি কাউন্সিলর ব্রাড ব্রাডফোর্ড। পতপত করে উড়তে থাকা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে সামনে নিয়ে ছবি তুলেছেন কানাডীয়ান এই তিন জনপ্রতিনিধি, সেই ছবি নিজেরাই পোষ্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সিটি হলের সামনে থাকা ‘টরন্টো’ সাইনটি পর্যন্ত লাল-সবুজের খেলায় মেতে উঠেছিলো।

রাজধানী অটোয়ার সিটি হলে একইভাবে উড়েছে বাংলাদেশের পতাকা। অন্যান্য প্রভিন্সে, যেখানে বাংলাদেশিরা বসবাস করেন, সেখানেই সরকারি স্থাপনাগুলো, জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আনন্দের অংশিদার হয়েছেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সারা বিশ্বকে বাংলাদেশ জানান দিয়েছে- তার দিকে এখন আর বাঁকা চোখে তাকানো যায় না, তাকে উপেক্ষা করা যায় না। বাংলাদেশকে কেবল ভালোবাসতে হয়, ভালোবাসার একটি দেশের নাম বাংলাদেশ।

(ছবিগুলো ইমিগ্রেশন নিউজ ২৪.কম, ডলি বেগম এমপিপি’র ফেসবুক পেজ এবং ওমর সেলিম শের এর ফেসবুক থেকে নেয়া)

Exit mobile version