অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ায় একটি বিদ্যালয়ে গুলি করে এক সহপাঠীকে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার পর আত্মহত্যা করেছে ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরী। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ব্রায়ানস্ক নামক এলাকায়।

এক বিবৃতিতে তদন্ত কমিটি বলেছে, ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরী বিদ্যালয়ে বাবার শটগান নিয়ে এসে তার সহপাঠীদের ওপর গুলি চালায়। এতে দুজন মারা গেছে। যাদের মধ্যে বন্দুকধারীও আছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে পাঁচজন।

বন্দুকধারীর পরিচয় প্রকাশ না করলেও কর্তৃপক্ষ বলেছে, গুলিতে নিহত ব্যক্তি ব্রায়ানস্ক শহরতলির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী। তদন্ত কমিটি জানায়, অপরাধের উদ্দেশ্য এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ইউক্রেনের নিকটবর্তী শহর ব্রায়ানস্কের ৫ নম্বর শরীরচর্চা কেন্দ্রে ঘটেছে এ ঘটনা। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাতে শহরটিতে মাঝেমধ্যেই গোলাগুলি এবং ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে।

রাশিয়ার বিদ্যালয়ে গোলাগুলির ঘটনা অনেকটাই বিরল। দেশটিতে বন্দুক আইন বেশ কঠোর হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের ঘটনা কয়েকটি ঘটেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পশ্চিম রাশিয়ার শহর ইজেভস্কে একটি বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছিল ১৮ জন।

২০২১ সালে ১৯ বছর বয়সি এক বন্দুকধারী তাতারস্তানের কাজানের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে নয়জনকে হত্যা করেছিল। একই বছর, পার্মের ইউরাল শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কিশোর ছয়জনকে হত্যা করেছিল।