অনলাইন ডেস্ক : বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে গাজায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। প্যারাসুটে ত্রুটি দেখা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাজা শহরের শাতি শরণার্থী শিবিরের উত্তরে তখন ত্রাণের অপেক্ষায় বহু মানুষ জড় হয়েছিলেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সংবাদিক জানান, বিমান থেকে এসব ত্রাণ ফেলা হয়েছে। তবে কোন দেশের বিমান ছিল, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস গতকাল শুক্রবার ঘটনার পর হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ‘অকেজো এয়ারড্রপগুলো মানবিক সেবার জন্য নয় বরং চটকদার প্রচার। তাই বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে তারা আরো বলেছে, “আমরা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে, এই পদ্ধতিতে ত্রাণ সরবরাহ গাজা স্ট্রিপের নাগরিকদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং আজ সেটাই ঘটল, ত্রাণ মানুষের মাথায় পড়ল।”

রাফাহ থেকে আলজাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন, ‘গাজার উত্তরের মানুষ আরো একটি ট্র্যাজেডির সম্মুখীন।’ মাহমুদ আরো বলেন, “শুধু খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের অভাবের মুখোমুখি হচ্ছে না, খাবারের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে আবার অকেজো প্যারাসুটের কারণেও নিহত হয়।”

এদিকে খাবারের অভাবে মৃত্যু ঘটছে গাজায়।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় গত মাসে প্রতিবেদন করেছে, গাজায় কমপক্ষে অর্ধ মিলিয়ন বা চারজনের মধ্যে একজন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হচ্ছে। ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে গাজায় মানবিক ত্রাণ ডুকতে পারছে না। ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গাজায় জাতিসংঘের বৃহত্তম সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজা স্ট্রিপের উত্তরে খাদ্য সরবরাহের অনুমতি দেয়নি তাদের।
সূত্র: আলজাজিরা