অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজার চাঙা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে। ইউরোপে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল আছে। ফলে বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারে এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, আগের দিন (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত উপাত্তে দেখা যায়; চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতি ব্যাপক প্রসারিত হয়েছে। গত ২ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

এছাড়া ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) সুদের হার স্থিতিশীল রেখেছে। তাতে স্পষ্ট, ইউরো জোনে প্রবৃদ্ধি স্থির হয়েছে। এ খবরের পর এমএসসিআইয়ের সব দেশের ইক্যুয়িটি বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।

আলোচ্য কার্যদিবসে ওয়াল স্ট্রিটের টেক জায়ান্ট নাসডাক ১০০ সূচক ঊর্ধ্বগামী হয়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। তবে ইউরোপের স্টক্স ৬০০ শেয়ার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

একই দিনে বেঞ্চমার্ক ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। বৈশ্বিক ঋণের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ বেসিস পয়েন্ট।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেটা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে আলোচিত কর্মদিবসে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৯ ডলার ৩০ সেন্টে।

একই দিনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাইরে এশিয়ায় এমএসসিআইয়ের বৃহৎ সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। আগের দিন তা ছিল বিগত ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ইতোমধ্যে প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রা ডলারের মানে ব্যাপক উত্থান ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে।

মোনেক্স ইউরোপের এফএক্স বিশ্লেষণের প্রধান সাইমন হার্ভে বলেন, এখন বুলিয়ন, ডলার, বন্ড, ইল্ড মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ফলে শেয়ারবাজার চাঙা থাকতে পারে।