অনলাইন ডেস্ক : করোনা মহামারির গত দুই বছরে রাশিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ গমের ফলন হয়েছে। এ কারণে চলতি ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানিতেও দেশটি রেকর্ড করবে বলে আশা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন ও মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্য ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন পুতিন। বৈঠকে রাশিয়ার কৃষি উৎপাদন নিয়েও আলোচনা হয়।

কর্মকর্তারা জানান, ২০২০ সালে রাশিয়ায় ১৩৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল, তার মধ্যে ৮৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন ছিল গম। ২০২১ সালে উৎপাদন কিছুটা কম হলেও আশা করা হচ্ছে, চলতি বছর ১৩০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হবে, যার মধ্যে গমের পরিমাণ থাকবে ৮৭ মিলিয়ন টন।

এ পরিসংখ্যানে সন্তোষ প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা যেমনটা হিসেব করছি, তা যদি সঠিক হয়— সেক্ষেত্রে রাশিয়া তার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গম উৎপাদনের রেকর্ড করতে যাচ্ছে।’

‘নিঃসন্দেহে এটি একটি সুখবর। আশা করছি, এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানিরও রেকর্ড করতে পারব আমরা।’

দুই বছরের করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সর্বশেষ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত ফেব্রুয়ারি থেকেই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল ও তেলবীজ, চিনি, দুধ-মাংসসহ প্রায় সব আহার্যের দাম।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এই হার গত আট বছরের রেকর্ড পেরিয়ে গেছে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ গম উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়া। এ বাজারে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেন। সম্প্রতি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।

কিন্তু তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে গম ও অন্যান্য কৃষিজ পণ্য রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে দেশটি।

আন্তর্জাতিক কৃষিজ উৎপাদন ও খাদ্যপণ্যের বিশ্ববাজার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সোভেকন কনসালটেন্সি মনে করে, গম রপ্তানিতে বর্তমানে ইউক্রেন কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আগামী জুন-জুলাই মৌসুমে এক্ষেত্রে দেশটিকে পেছনে ফেলবে রাশিয়া।

সূত্র: রয়টার্স