হিমাদ্রী রয়

বেশি তো চাইনি কিছুই
চেয়েছি উষ্ণ আলিঙ্গনে তোমায় নিয়ে করবো বিভাবরী যাপন
বাহু খুলে শর্বরী উষার কোলে পড়বে ঢলে
আশ্রিত আমার দেহ ঠেলে
স্নানের ঝর্ণা তলায় তোমার পুলকিত অবগাহন
সদ্য ভেজা চুলের গন্ধ ভেঙে দেবে নিরিহ ঘুমের নির্জন স্বপন।

আমি চাই পর্দা ঠেলা রোদের নরম আলোয় দেখবো তোমার মুখ
ঠাকুর ঘরে পুজো সেরে আহ্লাদে ডাকবে এসে
মাধুরীতে ছেয়ে যাবে মুগ্ধ আবেশ
ধুপের গন্ধ মিশে সকালের রোদ্দুরে স্নিগ্ধতায় মাখামাখি করুক।

বেশি তো চাইনি কিছুই
চাই অবসর সকালে সংসারী বাজারের ফর্দ ধরিয়ে দিবে
ভুল করে আদা আনতে ভুলে গেলে
একশো আটটা অভিযোগ শুনে অতঃপর আবার বাজার গমন
তন্ন তন্ন করে খুঁজে আনবো পঞ্চশস্য
খবরের কাগজে স্বস্তির মুখ ডুবাবো তুমি রাঁধবে শান্তিব্যাঞ্জন।

বেশি তো চাইনি কিছুই
আমি চাই বিলম্বিত দুপুরে দুজনে একান্তে যাপন
তোমার ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিবে আমার বুক বালিশে
অতুলপ্রসাদী গান গাইবে
আমি করবো রবীন্দ্র কবিতার আলাপন
কাহিনি খুঁজব জীবনের অজানা রাস্তায়
পূর্ণিমার চাঁদকে তালাশ করবো ঘোর অমাবস্যায়
সন্ধ্যা রাতে হাত ধরে তুমি নিয়ে যাবে ছাদে
আকাশের তারা মেতে উঠবে তোমার চাঁদ মুখের চর্চায়।

বেশি তো চাইনি কিছুই
ভাবে-অভাবে আড়ি হবে কথায় কথায়
রাতের বিছানা পাশবালিশে বাটাবাটি করে নিবো
নিশুতি রাতের খুনসুটিতে গাঢ় নিশ্বাসে আড়াআড়ি হবো
তুমি টেনে ধরবে রুপোলী শাড়ি
বলবো লক্ষীটি সরি হঠাৎ ভালবাসায় ঠোঁট ডুবাবো।

বেশি তো চাইনি কিছুই
বেলা-অবেলায় কেটে যাবে দিন,মাস, বছর
জীবন থিতো হবে রক্ত হবে মিঠে
আরো কত উপসর্গ সঙ্গে ওষুধ আর পথ্যির আত্মীয়তায়
চাই শুধু বেলা শেষের নিশ্বাসের শ্বাস ক্রিয়মাণ থাকুক
তোমার শাসন আর নিয়ম বিধির পাহারায়।