অনলাইন ডেস্ক : অপরাধ সংগঠনের চক্রগুলো করোনা মহামারির সময় মানবপাচার এবং সাইবার স্ক্যাম কার্যক্রম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় অপরাধী চক্রগুলো তাদের কার্যক্রম বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) ইন্টারপোল প্রধান এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের

সিঙ্গাপুর অফিসের বৈশ্বিক পুলিশের সমন্বয়ক দলের এক ব্রিফিংয়ে ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল জর্জজেন স্টক বলেন, অনলাইনের ওপর ভিত্তি করে পরিচয় লুকিয়ে এসব অপরাধী চক্র একটি ব্যবসায়িক মডেল দাঁড় করিয়েছে। যেটি করোনা মহামারির সময় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এসব অপরাধী চক্র তাদের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এক দশক আগেও এ ধরনের অপরাধের কথা চিন্তাও করা যেত না।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক এ অপরাধটি এখন বৈশ্বিক মানবপাচার সংকটে পরিণত হয়েছে। এর ফলে বহু মানুষ এখন তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

স্টক বলেন, নতুন সাইবার স্ক্যামের মাধ্যমে বহু সুযোগ সুবিধা সম্বলিত চাকরির প্রলভন দেখানো হয়। আর এর মাধ্যমেই তারা তাদের অপরাধের কার্যক্রম বাড়িয়ে থাকে এবং ড্রাগ পাচারের মাধ্যমে তারা বড় অংঙ্কের আয় করে থাকে। তিনি আরও বলেন, ড্রাগ পাচারের ব্যবসা ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ এসব অপরাধী চক্রের দ্বারা সংগঠিত হয়।

স্টক বলেন, অপরাধীরা নিত্যনতুনভাবে তাদের ব্যবসায়িক মডেল পরিবর্তন করছে। তারা শুধু ড্রাগ পাচারের কাজেই লেগে থাকছে না। এর পাশাপাশি মানবপাচর, অস্ত্র পাচার, বুদ্ধিভিত্তির সম্পত্তি চুরিসহ বিভিন্ন পণ্য ও গাড়িও চুরি করে।

এসব অপরাধের মাধ্যমে বছরে ২ থেকে ৩ ট্রিলিয়ন অর্থের আদান প্রদান হয়ে থাকে। এছাড়া একটি অপরাধী চক্র বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে।

গত বছর জাতিসংঘ জানায়, কম্বোডিয়ার অনলাইন স্ক্যাম সেন্টার থেকে ১ লাখের বেশি মানুষ পাচারের শিকার হয়েছে। নভেম্বরে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার চীনাকে তাদের দেশে পাঠানো হয়। এরা সবাই মানবপাচারের শিকার।