যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি : বোনকে বাঁচাতে সক্ষম হলেও সাগরের স্রোতে ভেসে যাওয়া ভাইয়ের লাশ উদ্ধার হলো ৬ দিন পর শনিবার। ২৪ বছর বয়সী জাবেদ ইকবালের লাশ মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে।

ইকবালের বাড়ি নোয়াখালীর চাঁটখিল উপজেলায়। আত্মীয়-স্বজনের সাথে বসবাস করছিলেন নিউজার্সি স্টেটের ক্লিমেন্টন সিটিতে। ১২ জুলাই রবিবার বিকেলে বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে বাসার নিকটস্থ ওসেন সিটিতে যান গোসল করতে। সে সময় উত্তাল ছিল সাগরের পানি। পানির স্রোত টেনে নেয় জাবেদের ১৬ বছর বয়সী বোনকে। সে সাঁতার জানে না। তাই জাবেদ তাকে উদ্ধার করতে যান। বোনকে কোনমতে কিনারায় টেনে আনার পরই প্রবল স্রোত জাবেদকেই টেনে নেয়। জাবেদ গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যান। অবশেষে উপকূলীয় পুলিশকে জানানো হয় বিষয়টি। তারা পরদিন সোমবার নাগাদ চেষ্টার পর জাবেদের ভাই মো. খলিলকে তাদের হতাশার কথা জানিয়ে দেন। এর ৫দিন পর ১৮ জুলাই শনিবার ভোরে লংপোর্ট এবং ওসেন সিটির মধ্যে গ্রেট হারবর মোহনায় মাছ ধরার সময় মাঝিদের জালে একটি লাশ ভেসে উঠে। সাথে সাথে মৎস্যজীবীরা ফোন করেন ৯১১ এবং নিকটস্থ দমকল বাহিনীর অফিসে। ডুবুরিরা এসে জাল থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। এরপর সাউদার্ন রিজিওনাল মেডিকেল অফিস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, সেটি জাবেদেরই লাশ। উপকূলীয় পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, সাগর ক্ষণে ক্ষণেই অচেনা হয়ে যাচ্ছে প্রবল ঢেউয়ের কারণে। এজন্যে লোকজনকে সাগরে নামতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও নৌ-পুলিশের দৃষ্টি এড়িয়ে কেউ কেউ গোসল করতে আসছেন এবং এমন দু:খজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে।

তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাগরে গোসলের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ আগে দেখা যায়নি। জাবেদ পানিতে ভেসে যাবার পর সেই নোটিশ টাঙানো হয়েছে।