Home কানাডা খবর ব্যাংক অব কানাডার বেঞ্চমার্ক সুদের হার ১.৫ শতাংশে বৃদ্ধি

ব্যাংক অব কানাডার বেঞ্চমার্ক সুদের হার ১.৫ শতাংশে বৃদ্ধি

অনলাইন ডেস্ক : উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার জন্য ব্যাংক অব কানাডা গত বুধবার তার বেঞ্চমার্ক সুদের হার ১.৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। এবং আভাস দিয়েছে এটি আরো বাড়তে পারে। এপ্রিলে কানাডায় মুল্যস্ফীতির ৬.৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা দিগুণেরও বেশি। তাই উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার জন্য সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি ছিল প্রত্যাশিত।

প্রসঙ্গত, মন্থর অর্তনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ঋণ গ্রহণ ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ হার কমিয়ে থাকে। অন্যদিকে ‘অতিরিক্ত উত্তপ্ত’ অর্থনীতিকে ‘শীতল’ করার জন্য তারা হার বাড়ায়। করোনা মহামারি শুরুর প্রথম দিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কানাডাও ঋণের হার কমিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই রেকর্ড নিম্ন হার মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে চলছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মত পরিবর্তনে প্ররোচিত করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, জীবনযাত্রার ব্যয় ইতোমধ্যে ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে এটি এখানেই থামবে বলে মনে হয় না। বুধবার এক বিবৃতিতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই মুদ্রাস্ফীতি আরেক দফা বাড়তে পারে। যদি তাই হয় তাহলে সুদহারও সমন্বয় করতে হবে। ব্যাংক তার বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছে, আগামী দিনগুলোতে আরো কয়েক দফা হার বৃদ্ধির পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। এই বৃদ্ধি ব্যাংকের হারকে মহামারির আগের রেকর্ড ১.৭৫ শতাংশের স্তর ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত বন্ধকী ও অন্যান্য ক্রেডিট লাইনের ব্যবসাকে প্রভাবিত করবে। অন্টারিওর ওকভিলের একজন ব্যবসায়ী জন মার্শ বলেন, মহামারির আঘাতের শুরুতে তার বিক্রয় প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেলে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মতো টিকে থাকার জন্য তিনিও ব্যাংক থেকে কিছু ঋণ নেন। সেই ঋণের টাকায় তার ব্যবসা আবার লাভের মুখ দেখায় তিনি এতদিন সন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সুদহার বৃদ্ধির ঘোষণা তাকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত তার খরচ বাড়িয়ে দেবে। তিনি বলেন, আমার কাছে পরিবর্তনশীল হারসহ বেশ কয়েকটি ঋণ রয়েছে। প্রতিবার ব্যাংকের হার পরিবর্তনের ঘোষণা আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। মার্শ অনুমান করছেন যে, বুধবারের ৫০ পয়েন্ট বৃদ্ধির ঘোষণা তার ঋণ পরিশোধের মাসিক খরচ কয়েকশ ডলার বাড়িয়ে দেবে। এছাড়া পুরোপুরি ঋণমুক্ত হতে তার কমপক্ষে আরো ৬ বছর সময় লাগবে।

অন্যদিকে সুদহার বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় প্রভাব কানাডার হাউজিং সেক্টরে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কানাডার মর্টগেজের সিইও সামান্তা ব্রুকস বলেন, মহামারি চলাকালীন সস্তা ঋণের হারের কারণে কানাডার হাউজিং মার্কেটে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ উত্থান ঘটেছিল। গত দুই মাস ধরে বাড়ির গড় দাম কমছে এবং তা আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এই সুদহার বৃদ্ধির ঘোষণা এখন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই প্রভাবিত করবে। সূত্র : সিবিসি

Exit mobile version